প্রতীকী ছবি।
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি
জরুরি ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই দেশে ২টি টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। অনুমোদনের আবেদন জানিয়েছে আরও কয়েকটি সংস্থা। সেই দৌড়ে এ বার শামিল হতে পারে টাটা গোষ্ঠী। আমেরিকার ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা মডার্নার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে ভারতে উৎপাদনের পক্রিয়া শুরু করতে পারে টাটা মেডিক্যাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিকস। এ নিয়ে শুরু হয়েছে দু’পক্ষের আলোচনা।
টাটা কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, টাটা মেডিক্যাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিকস-এর সঙ্গে ভারতের স্বায়ত্তশাসিত সরকারি সংস্থা ‘কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ’ (সিএসআইআর) যৌথ ভাবে দেশে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করতে পারে। সেই ট্রায়ালের ফলাফল বিশ্লেষণ করে সাফল্য মিললে অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানানো হতে পারে।
কেন্দ্র অবশ্য ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছে, যে টিকাই হোক, অন্য দেশের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফল গ্রহণ করা হবে না। দেশের অভ্যন্তরে ট্রায়াল সম্পূর্ণ করার পর তার ফল বিশ্লেষণ করে তবেই প্রয়োগের অনুমোদন দেওয়া হবে। একটি সংবাদ সংস্থা এই খবর জানালেও টাটা বা মডার্না কোনও পক্ষই এ নিয়ে এখনই মন্তব্য করতে চায়নি।
তবে মডার্নার তৈরি টিকা ভারতে অনুমোদন পাওয়ার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ ফাইজারের মতো টিকা যেখানে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়, মডার্নার টিকা সাধারণ রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করলেও কোনও সমস্যা হয় না। ভারত-সহ উন্নয়নশীল বা অনুন্নত দেশে যেখানে কোল্ড স্টোরেজের অপ্রতুলতা রয়েছে, সেখানে এটা বিরাট সম্ভাবনার জায়গা বলেই মনে করছেন টাটা কর্তৃপক্ষ। সেই কারণেই এই টিকা ভারতে উৎপাদনের চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা।
নভেম্বরে মডার্নার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের রিপোর্টে উঠে এসেছিল, তাদের টিকা ৯৪.১ শতাংশ কার্যকরী। গুরুতর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও ধরা পড়েনি ট্রায়ালে। ডিসেম্বরেই মডার্নার টিকা প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে আমেরিকা। জানুয়ারিতে অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপের প্রায় সব দেশ। সেই টিকার প্রয়োগও চলছে দুই মহাদেশে। এ বার ভারতেও মডার্নার টিকা উৎপাদনের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে।