গ্রাফিক-শৌভিক দেবনাথ।
দেশে রোজ নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাটা বাড়তে বাড়তে ১১ হাজারের ঘরে ঢুকে পড়েছে আগেই। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১১ হাজার ৫০২ জনের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা তিন লক্ষ ৩২ হাজার ৪২৪। মহারাষ্ট্র লাখের ঘরে ঢুকে পড়েছে আগেই। তামিলনাড়ু ও দিল্লি পাল্লা দিয়ে ছুটছে পঞ্চাশ হাজারের দিকে।
আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যু সংখ্যাও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার থাবায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৩২৫ জনের। দেশে মোট মৃত্যু হল ন’হাজার ৫২০ জনের। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ৯৫০ জনের। গুজরাতে এক হাজার ৪৭৭ জনের। রাজধানী দিল্লিতেও মৃত্যু সংখ্যা ধারাবাহিক ভাবে বাড়ছে। সেখানে এক হাজার ৩২৭ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। পাঁচশোর গন্ডি না পেরিয়েও মৃত্যুতে দেশের চতুর্থ স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এ রাজ্যে মোট মৃত ৪৭৫ জন। এর পর তালিকায় রয়েছে মধ্যপ্রদেশ (৪৫৯), তামিলনাড়ু (৪৩৫), উত্তরপ্রদেশ (৩৯৯), রাজস্থান (২৯২) ও তেলঙ্গানা (১৮৫)।
আক্রান্তের শীর্ষে থাকা মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৩৯০ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। সে রাজ্যে মোট আক্রান্ত হলেন এক লক্ষ সাত হাজার ৯৫৮ জন। এর পরই তামিলনাড়ু। সেখানে মোট আক্রান্ত ৪৪ হাজার ৬৬১ জন। রাজধানী দিল্লির আক্রান্ত চল্লিশ হাজার ছাড়াল। সেখানে মোট ৪১ হাজার ১৮২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গুজরাতে মোট আক্রান্ত ২৩ হাজার ৫৪৪ জন।
উত্তরপ্রদেশ ১৩, রাজস্থান ১২, পশ্চিমবঙ্গ ১১ ও মধ্যপ্রদেশ ১০ হাজারের গন্ডি পার করে এগোচ্ছে। পাঁচ হাজার সংক্রমণ গন্ডি পেরিয়েছে হরিয়ানা (৭,২০৮), কর্নাটক (৭,০০০), বিহার (৬,৪৭০), অন্ধ্রপ্রদেশ (৬,১৬৩), জম্মু ও কাশ্মীর (৫,০৪১)। এর পর রয়েছে তেলঙ্গানা (৪৯৭৪), অসম (৪,০৪৯), ওড়িশা (৩,৯০৯) পঞ্জাব (৩,১৪০), কেরল (২,৪৬১), উত্তরাখণ্ড (১,৮১৯), ঝাড়খণ্ড (১,৭৪৫) , ছত্তীসগঢ় (১,৬৬২) ও ত্রিপুরা (১,০৭৬)-র মতো রাজ্যগুলি।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮৯ জন। এ নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্ত হলেন ১১ হাজার ৮৭ জন। এ রাজ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ৪৭৫ জনের।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রোজদিন উল্লেখযোগ্য হারে বাড়লেও, আক্রান্তদের সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাটাও বাড়ছে। অ্যক্টিভ রোগীর সংখ্যার থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাটা এখন বেশি। কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর এখনও অবধি এক লক্ষ ৬৯ হাজার ৭৯৮ জন সুস্থ হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন সাত হাজার ৪১৯ জন।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)