দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ৬৮ লক্ষ ৩৫ হাজার ৬৫৫ জন। গ্রাফিক-শৌভিক দেবনাথ।
দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা এক সময় বাড়তে বাড়তে ৯৫ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। সাম্প্রতিক কালে তা ধীরে ধীরে কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৮ হাজার ৫২৪ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। যার জেরে দেশের মোট আক্রান্ত হলেন ৬৮ লক্ষ ৩৫ হাজার ৬৫৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আমেরিকাতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ হাজার ২৯৫ জন ও ব্রাজিলে ৩১ হাজার ৫৫৩ জন। যার জেরে বিশ্বের প্রথম স্থানে থাকা আমেরিকাতে মোট আক্রান্ত হলেন ৭৫ লক্ষ ৪৯ হাজার ৪২৯ জন। বিশ্বের তৃতীয় স্থানে ব্রাজিলে মোট আক্রান্ত ৫০ লক্ষ পেরলো।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। )
দেশে কোভিড আক্রান্তদের সুস্থ হওয়ার হার শুরু থেকেই আশাব্যাঞ্জক। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৫৮ লক্ষ ২৭ হাজার ৭০৪ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন। যা গোটা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশের মোট আক্রান্তের ৮৫ শতাংশই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৮৩ হাজার ১১ জন। নতুন আক্রান্তের থেকে সুস্থ বেশি হওয়ায় কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। এখন দেশে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ন’লক্ষ ২ হাজার ৪২৫ জন।
প্রতি দিন যে সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা হচ্ছে তার মধ্যে যত শতাংশের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হচ্ছে পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার। আজ তা ৬.৫৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ১১ লক্ষ ৯৪ হাজার ৩২১ জনের।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। )
করোনাভাইরাস ইতিমধ্যেই এক লক্ষের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে। যদিও ইউরোপ-আমেরিকার তুলনায় ভারতে মৃত্যুহার অনেক কম। গত কয়েকদিনে দৈনিক মৃত্যুও কমেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৭১ মারা গিয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট এক লক্ষ পাঁচ হাজার ৫২৬ জন প্রাণ হারালেন। এর মধ্যে সব থেকে বেশি লোক মারা গিয়েছেন মহারাষ্ট্রে। তামিলনাড়ু ও কর্নাটকে মৃত্যু ১০ হাজারের কিনারাতে দাঁড়িয়ে। অন্ধ্রপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশেও ছ’হাজার ছাড়িয়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লিতে সংখ্যাটা সাড়ে পাঁচ হাজারের আশপাশে। তিন হাজারের বেশি মৃত্যুর সাক্ষী গুজরাত ও পঞ্জাব। মধ্যপ্রদেশেও সংখ্যাটা আড়াই হাজার পেরিয়েছে। রাজস্থান, জম্মু ও কাশ্মীর, ছত্তীসগঢ় ও তেলঙ্গানাতেও মোট মৃত এক হাজার ছাড়িয়েছে। দেশের বাকি রাজ্যগুলিতে মৃতের সংখ্যা তুলনায় অনেক কম।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
মৃত্যুর মতো আক্রান্তের তালিকার শীর্ষেও মহারাষ্ট্র। এখনও অবধি ১৪ লক্ষ ৮০ হাজার লোক আক্রান্ত হয়েছেন সেখানে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অন্ধ্রপ্রদেশে সংখ্যাটা সাত লক্ষ ৩৪ হাজার। কর্নাটকে ছ’লক্ষ ৬৮ হাজার ও তামিলনাড়ুতে ছ’লক্ষ ৩৫ হাজার জন এখনও অবধি করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। উত্তরপ্রদেশে সংখ্যাটা চার লক্ষ ছাড়িয়েছে। দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, ওড়িশা ও তেলঙ্গানাতে দু’লক্ষ পার করেছে মোট আক্রান্ত। বিহার, অসম, রাজস্থান, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, ছত্তীসগঢ়, পঞ্জাবে মোট আক্রান্ত এক লক্ষের বেশি। দেশের বাকি রাজ্যে আক্রান্ত এখনও এক লক্ষ পেরোয়নি।
পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজারের বেশি। তবে গত এক সপ্তাহে তা কিছুটা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন দু’লক্ষ ৮০ হাজার ৫০৪ জন। করোনার জেরে রাজ্যে এখনও অবধি মৃত্যু হয়েছে পাঁচ হাজার ৩৭৬ জনের।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)