দেশের কোভিড পরিসংখ্যান। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।
দেশের দৈনিক সংক্রমণ শুক্রবারও ১৭ হাজারের কাছাকাছি। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই তা প্রায় ৯ হাজারের কাছাকাছি। পঞ্জাবে তা ১ হাজার ছাড়িয়েছে। পাশাপাশি কর্নাটক, তামিলনাড়ু, গুজরাতেরও গত কয়েকদিন ধরে দৈনিক সংক্রমণ বেড়েছে। গত ৩ দিন দেশের দৈনিক মৃত্যু ছিল ১০০-র কম। শুক্রবার তা আবার ১০০ ছাড়াল। সেই সঙ্গে সক্রিয় রোগীর বৃদ্ধিও অব্যাহত রয়েছে। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশের করোনার চিত্র নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে। যদিও টিকাকরণ প্রক্রিয়ার অগ্রগতি কিছুটা হলেও আশা জাগাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে এখনও অবধি কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ১১ লক্ষ ৭৩ হাজার ৭৬১ জন। এর মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৬ হাজার ৮৩৮ জন। করোনাভাইরাস এখনও অবধি দেশে প্রাণ কেড়েছে ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৫৪৮ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ গিয়েছে ১১৩ জনের। দেশে মৃত্যুর হার ১.৪১ শতাংশই রয়েছে।
তবে দেশে দৈনিক সংক্রমণ বাড়লেও সব রাজ্যে তা বাড়েনি। অধিকাংশ রাজ্যেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু গত কয়েকটি রাজ্যেই তা বেড়েছে গত কয়েকদিনে। মহারাষ্ট্র, কেরল, পঞ্জাব, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ— দেশের দৈনিক সংক্রমণের প্রায় ৮৭ শতাংশই এই ক’টি রাজ্য থেকে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে তা প্রায় ৯ হাজার এবং কেরলে ২ হাজার ৬১৬। পঞ্জাবে দৈনিক আক্রান্ত বাড়তে বাড়তে শুক্রবার ১ হাজার পার করেছে। গত ক’দিনে ধারাবাহিক বৃদ্ধির পরিণতি এই পরিমান দৈনিক আক্রান্ত। কর্নাটকেও দৈনিক আক্রান্ত শুক্রবার ৫০০ ছাড়িয়েছে। গুজরাত এবং তামিলনাড়ুতেও তা ৫০০-র কাছাকাছি। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী দিল্লিতেও বেড়েছে দৈনিক আক্রান্ত (২৬১)।
গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দৈনিক আক্রান্ত বৃদ্ধি হওয়ার জেরে দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত কয়েকদিনে ধারাবাহিকভাবে তা বেড়ে ১ লক্ষ ৭৬ হাজার পেরিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সক্রিয় রোগী বেড়েছে প্রায় ৩ হাজার।
ইতিমধ্যই দেশে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফার টিকাকরণ। এবং তা জোরকদমেই চলছে। দেশে এখনও অবধি টিকা ডোজ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৮০ লক্ষ ৫ হাজার ৫০৩। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ লক্ষ ৮৯ হাজার ৪৫৫ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এই প্রথম দেশে একদিনে টিকা পেলেন ১০ লক্ষেরও বেশি জন।