Coronavirus Update

মোট আক্রান্ত ৯৬ লক্ষ ছাড়াল, কমছে সক্রিয় রোগী, দৈনিক মৃত্যু ৫০০ ছাড়াচ্ছে

দেশের মোট আক্রান্তের ৯৪ শতাংশেরও বেশি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৪২ হাজার ৫৩৩ জন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২০ ১০:৫৫
Share:

দেশের কোভিড পরিসংখ্যান। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

৩৬, ৩৫, ৩৬, ৩৬ হাজার— গত ৪দিন ধরে দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ হচ্ছে এ ভাবেই। এই ক’দিনে সংক্রমণের হার রয়েছে সাড়ে ৩ শতাংশের নীচে। তবে দৈনিক মৃত্যু রোজই ৫০০ ছাড়াচ্ছে। এক নজরে এটাই দেশের করোনা-চিত্র।

Advertisement

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৬৫২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত ৯৬ লক্ষ ৮ হাজার ২১১ জন। এই সংখ্যক আক্রান্ত নিয়ে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থান ভারতের। প্রথম স্থানে থাকা আমেরিকার মোট আক্রান্ত ১ কোটি ছাড়িয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এখনও অবধি সেখানে ১ কোটি ৪৩ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অক্টোবরের শেষ থেকেই আমেরিকাতে বাড়ছিল দৈনিক সংক্রমণ। গত ১ মাস ধরে তা রোজই ১ লক্ষ ছাড়াচ্ছে। এই সময়কালে সেখানে দৈনিক সংক্রমণ ২ লক্ষ ২৯ হাজার। তুলনায় তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে দৈনিক সংক্রমণ মাস খানেক ধরে অনেকটাই কম। লাতিন আমেরিকার ওই দেশে এখন পর্যন্ত ৬৫ লক্ষ ৩৩ হাজার জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। )

Advertisement

করোনাভাইরাস এখনও অবধি ভারতে ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৭০০ জনের প্রাণ কেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মারা গিয়েছেন ৫১২ জন। দেশের মোট মৃত্যুর এক তৃতীয়াংশই মহারাষ্ট্রে। সেখানে প্রাণ গিয়েছে ৪৭ হাজার ৫৯৯ জনের। বেশ কিছুদিন কম থাকার পর গত ৩ দিন ওই রাজ্যে দৈনিক মৃত্যু ১০০ ছাড়াচ্ছে। দেশের মৃত্যু তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা কর্নাটকে এবং তামিলনাড়ুতে তা সাড়ে ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। এর পর ক্রমান্বয়ে রয়েছে দিল্লি (৯,৪৯৭), পশ্চিমবঙ্গ (৮,৬২৮), উত্তরপ্রদেশ (৭,৮৭৭), অন্ধ্রপ্রদেশ (৭,০২০)। পঞ্জাব, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ় এবং রাজস্থানেও মোট মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

আক্রান্ত এবং মৃত্যু বৃদ্ধির মধ্যেই স্বস্তিদায়ক দেশের সুস্থতার হার। ভারতে কোভিড আক্রান্তদের সুস্থ হওয়া শুরু থেকেই আমেরিকা, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের থেকে বেশি। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৯০ লক্ষ ৫৮ হাজার ৮২২ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন। যা গোটা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশের মোট আক্রান্তের ৯৪ শতাংশেরও বেশি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৪২ হাজার ৫৩৩ জন। নতুন আক্রান্তের থেকে সুস্থ বেশি হওয়ায় অক্টোবরের শুরু থেকেই দেশে কমছিল সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় তা ৬ হাজার ৩৯৩ কমেছে। এখন দেশে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৯ হাজার ৬৮৯ জন।

প্রতি দিন যে সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা হচ্ছে তার মধ্যে যত শতাংশের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হচ্ছে পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় তা ৩.১৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ১১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৭৬৩ জনের।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। )

দেশের অধিকাংশ রাজ্যেই দৈনিক সংক্রমণ গত দেড় মাসে কমেছে। গত কয়েকদিনে দিল্লিতে দৈনিক সংক্রমণে কিছুটা লাগাম পড়লেও কেরলে তা ঊর্ধ্বমুখী। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৬৭ জন। সেখানে কেরলে তা প্রায় সাড়ে ৫ হাজারের বেশি। মহারাষ্ট্রে শনিবার দৈনিক সংক্রমণ ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। অন্য দিকে রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাতের মতো রাজ্যগুলিতে শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে খুব ধীরে হলেও ধারাবাহিক ভাবে বাড়ছে আক্রান্ত।

পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ২০৬ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্ত হলেন ৪ লক্ষ ৯৬ হাজার ৫২২ জন। যদিও তার মধ্যে ৪ লক্ষ ৬৩ হাজার ৮৪৯ জন রোগী সুস্থও হয়েছেন। রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫২ জনের। এ নিয়ে রাজ্যে মোট মৃত্যু হল ৮ হাজার ৬২৮ জনের।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement