দেশের কোভিড পরিসংখ্যান। গ্রাফিক—শৌভিক দেবনাথ।
ছ’হাজার, ন’হাজার, ১৩ হাজার, সাড়ে ১৬ হাজার— গত চার দিন ধরে এ ভাবেই বাড়ল দেশের দৈনিক কোভিড সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৭৬৪ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪৮ লক্ষ ৩৮ হাজার ৮০৪।
করোনাভাইরাসের অন্যান্য রূপের পাশাপাশি দেশে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, দেশে এখনও অবধি ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৭০ জন। এর মধ্যে ৩৭৪ জন ওমিক্রন আক্রান্ত এখনও অবধি সুস্থ হয়েছেন। দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। সেখানে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫০ জন। এর পরই রয়েছে দিল্লি। দেশের রাজধানীতে ৩২০ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। এর পর ক্রমান্বয়ে রয়েছে কেরল (১০৯), গুজরাত (৯৭), রাজস্থান (৬৯), তেলঙ্গানা (৬২), তামিলনাড়ু (৪৬), কর্নাটক (৩৪), অন্ধ্রপ্রদেশ (১৬), হরিয়ানা (১৪), ওড়িশা (১৪) এবং পশ্চিমবঙ্গ (১১)। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি রাজ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।
দেশেও বেশ কয়েকটি রাজ্যে লাফ দিয়ে বেড়েছে দৈনিক আক্রান্ত। সেই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় সে রাজ্যে আক্রান্ত ৫ হাজার ৩৬৮ জন। এর মধ্যে মুম্বইয়েই আক্রান্ত তিন হাজারের বেশি। কিন্তু ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়েও সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫০০-র আশপাশে। একই অবস্থা দিল্লিতে। প্রায় সাত মাস পর রাজধানীতে আক্রান্ত এক হাজার পেরিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩১৩ জন। কেরলে দৈনিক সংক্রমণ প্রায় আড়াই হাজার থাকলেও তা কিন্তু বাড়েনি। তবে পশ্চিমবঙ্গে লাফিয়ে বেড়েছে দৈনিক আক্রান্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ১২৮ জন। কলকাতাতে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। তামিলনাড়ু এবং কর্নাটকেও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। যদিও তা এক হাজারের নীচে রয়েছে। আক্রান্ত বেড়েছে গুজরাত এবং হরিয়ানাতেও।
তবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও দৈনিক মৃত্যু গত কয়েক দিনের তুলনায় বাড়েনি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ২২০ জনের। যার অধিকাংশটাই কেরলে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে মোট প্রাণ হারিয়েছেন ৪ লক্ষ ৮১ হাজার ৮০ জন। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার জেরে দেশে সক্রিয় রোগীও বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সক্রিয় রোগী বেড়েছে ৮ হাজার ৯৫৯। দেশে এখন সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৯১ হাজার ৩৬১ জন।