দেশের কোভিড পরিসংখ্যান। গ্রাফিক— শৌভিদ দেবনাথ।
শৃঙ্খল ভাঙতে মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় আংশিক ভাবে জারি হয়েছে লকডাউনের বিধিনিষেধ। কিন্তু তবুও নিয়ন্ত্রণে আসছে না সে রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় সে রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে ১৩ হাজার ছাড়িয়েছে। পঞ্জাব, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ়ে নতুন আক্রান্ত উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। এই বৃদ্ধির জেরে দেশের দৈনিক সংক্রমণ বৃহস্পতিবার প্রায় ২৩ হাজারের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে। চলতি বছর এই প্রথম দেশের দৈনিক সংক্রমণ ২২ হাজার ছাড়াল।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৮৫৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ১ কোটি ১২ লক্ষ ৮৫ হাজার ৫৬১ জন। করোনার জেরে দৈনিক মৃত্যু আজও ১০০ ছাড়িয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যু হল ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ১৮৯ জনের। মৃত্যুহার ১.৪ শতাংশ।
দেশের মোট সংক্রমণের সিংহভাগই ৭/৮টি রাজ্য থেকে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। কেরলে আগের থেকে কমলেও দৈনিক সংক্রমণ আড়াই হাজারের আশপাশে রয়েছে। পঞ্জাবে তা ১ হাজার ৩৯৩। কর্নাটকেও বৃহস্পতিবার সংক্রমণ সাড়ে সাতশো ছাড়িয়েছে। তামিলনাড়ু এবং গুজরাতে তা প্রায় সাড়ে ছশো। মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ়ে ৫০০-র কাছাকাছি পৌঁছেছে দৈনিক সংক্রমণ। দিল্লি এবং হরিয়ানাতেও গত কয়েক দিনে বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণ।
পাশাপাশি দেশ জুড়ে করোনা টিকাকরণও হচ্ছে জোরকদমে। ইতিমধ্যেই তা আড়াই কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় দফায় দেশে টিকা নিচ্ছেন প্রবীণরাও। মঙ্গলবার জে কামেশ্বরী নামের ১০৩ বছরের এক বৃদ্ধা টিকা নিয়েছেন বেঙ্গালুরুতে। তিনি দেশের সবথেকে প্রবীণ যিনি টিকা নিলেন।