এই জাহাজেই আটকে রয়েছেন যাত্রীরা। —ফাইল চিত্র।
জাপান উপকূলে আটকে থাকা ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজে এ বার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন দুই ভারতীয়। বুধবার তাঁদের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আক্রান্ত দু’জন জাহাজেরই কর্মী বলে জানিয়ে জাপানে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে।
এ দিন বারতীয় দূতাবাসের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলা হয়, ৩ হাজার ৭১১ জন যাত্রীর মধ্যে ওই জাহাজে ১৩৮ জন ভারতীয় রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত ১৭৪ জনের শরীর করোনা ভাইরাস মিলেছে, যার মধ্যে রয়েছেন দুই ভারতীয়ও।
আক্রান্ত দুই ভারতীয়র নাম যদিও এখনও পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি। তবে সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য জাপান সরকার আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জাহাজটিকে ইয়োকোহামা বন্দরেই আটকে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চোরাই মালের তালিকা দিয়ে কিনে আনতে বলেছিল সিঁথি থানা! তদন্তে নতুন মোড়
এর আগে বশ কয়েক বার ওই জাহাজ থেকে, ফেসবুকের মাধ্যমে ভারত সরকারের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছিলেন বিনয়কুমার সরকার নামের এক বাঙালি যুবক। আদতে উত্তর দিনাজপুর জেলার চাকুলিয়ার কানকির হাতিপার এলাকার বাসিন্দা তিনি। ভিডিয়ো বার্তায় বিনয় জানান, গত ২০ জানুয়ারি জাপানের ইয়োকোহামা থেকে হংকং রওনা দেয় ডায়মন্ড প্রিন্সেস। ২৫ জানুয়ারি হংকংয় পৌঁছয় সেটি। সেখান থেকে এক জন যাত্রী উঠেছিলেন। ওই যাত্রীই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন বলে সন্দেহ তাঁদের।
বিনয় জানান, হংকং থেকে ফের ২৮ জানুয়ারি রওনা হয়েছিলেন তাঁরা। গন্তব্য ছিল ভিয়েতনাম। কিন্তু ২ ফেব্রুয়ারি সংক্রমণের কথা জানতে পেরে দ্রুত টোকিয়োর কাছে জাহাজ ফেরানো হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সেখানেই আটকে রয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: ঘৃণ্য অপরাধীও সব আইনি বিকল্প পাবে, নির্ভয়া কাণ্ডে বলল আদালত
শুধু বিনয়ই নন, সোনালী ঠাকুর নামে জাহাজের আর এক কর্মীও ইতিমধ্যে ভারত সরকারের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া ভিডিয়ো বার্তায় তিনি বলেন, ‘‘আমরা চাই ভারত সরকার আমাদের এখান থেকে নিয়ে গিয়ে আলাদা কোথাও রাখার বন্দোবস্ত করুক। তা যদি না-ও হয়, কমপক্ষে মেডিক্যাল টিম পাঠানো হোক, যাতে সকলের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা যায়। আমরা বাড়ি যেতে চাই।’’ জাহাজে বন্দি সকলের সঙ্গে সারা ক্ষণ যওগাযোগ রয়েছে বলে টোকিয়োয় ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে।