ফাইল ছবি
ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রধান মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভাইরাসের নতুন প্রজাতি। আর সেই রূপ পাল্টানো প্রজাতি ছড়িয়ে পড়ার পিছনে কাজ করেছে পরিযায়ী শ্রমিকদের যাতায়াত ও বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক মানুষের জমায়েত। আইসিএমআর-এর নিজস্ব একটি গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
একটি জাতীয় সংবাদমাধ্যমে এই গবেষণাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘‘দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রাথমিক সংক্রমণ বোঝা যায় পরিযায়ী শ্রমিকদের যাতায়াত ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলির দিকে তাকালেই। এই গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে, ভাইরাসের নতুন প্রজাতি এ দেশে এনেছিলেন বিদেশিরা। সেই থেকে দেশের মানুষের শরীরে তা ছড়িয়ে পড়ে। তারপর একাধিক ধর্মীয় জমায়েত থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের দ্রুত অবস্থান বদলের কারণে তা ছড়িয়ে যায় দেশের নানা প্রান্তে।
আইসিএমআর-এর গবেষণায় উঠে এসেছে, করোনার ই৪৮৪কিউ প্রজাতি ভারতে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে অগস্ট মাসের মধ্যেই ঢুকে পড়ে। এই একই প্রজাতি মহারাষ্ট্রে পাওয়া যায় মার্চ থেকে জুলাইয়ের মধ্যে। এ ছাড়াও করোনার আরও একটি প্রজাতি, এন৪৪০কে স্পাইক প্রোটিন পাওয়া যায় তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, অসমে, ২০২০ সালের মে মাসের পর থেকে। এই গবেষণার ফল প্রকাশের পাশাপাশি র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের বিষয়ে নির্দেশিকা দিয়ে বলেছে, যাঁদের শরীরে কোনও উপসর্গ রয়েছে বা যাঁরা করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁরাই র্যাপিড টেস্ট করুন, বাকিদের প্রয়োজন নেই।