শনিবার বৈঠকে মোদী। ছবি: পিটিআই।
অতিমারি সামাল দিতে এ বার সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিষেধকের উৎপাদন বাড়ানোয় জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশীয় টিকা কোভ্যাক্সিনের উৎপাদন বাড়াতে ভারত বায়োটেককে সবরকম সাহায্যের কথাও জানিয়েছেন মোদী। এ ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার জন্য আর্থিক সাহায্য বরাদ্দ করা হবে, যাতে প্রতিষেধকের উৎপাদন বাড়িয়ে দ্রুত দেশের সর্বত্র তা সরবরাহ করা যায়।
নোভেল করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় এই মুহূর্তে সঙ্কটজনক পরিস্থিতি দেশের সর্বত্র। বৃহস্পতিবার থেকে দৈনিক সংক্রমণ ২ লক্ষের উপরেই রয়েছে। বুধবার থেকে দৈনিক মৃত্যু রয়েছে হাজারের উপরে। কিন্তু তা সামাল দেওয়ার জন্য যে পরিমাণ প্রতিষেধকের দরকার, তা মিলছে না বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছে একাধিক রাজ্য। এমন পরিস্থিতিতে শনিবার দিল্লিতে বিশেষ পর্যালোচনা বৈঠকে যোগ দিয়ে প্রতিষেধকের উৎপাদন বাড়ানোর উপর জোর দিলেন মোদী।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক প্রদত্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত দেশে মোট ১২ কোটি ১৫ লক্ষ ডোজ প্রতিষেধক টিকাকরণে ব্যবহৃত হয়েছে। এর মধ্যে ১ কোটি ৬১ লক্ষ দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এই মুহূর্তে ভারতে ৭.৬ শতাংশ হারে দৈনিক নয়া সংক্রমণ বেড়ে চলেছে যা গোটা বিশ্বের মধ্যে দ্রুততম। গত বছর অতিমারির প্রকোপে যখন ধুঁকছে গোটা দেশ, সেই সময়ও ভারতে দৈনিক নয়া সংক্রমণের হার ছিল ৫.৫ শতাংশ। অর্থাৎ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আগের হিসেব ছাপিয়ে গিয়েছে।
তাই প্রতিষেধকের উৎপাদন বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ওষুধ, অক্সিজেন, ভেন্টিলেটরের জোগানে যাতে কোনও ভাবে ভাটা না পড়ে, তার উপরও জোর দিয়েছেন মোদী। বিভিন্ন রাজ্যে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে অতিমারি নিয়ন্ত্রণে কাজে লাগানোর কথা বলেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ওষুধ সংস্থাগুলির সুবিধার্থে রেমডেসিভিরের দামও কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এই ওষুধ সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে কোভিড রোগীদের উপর প্রয়োগ করা হয়। এমনিতে দেশে মাসে ২৭ থেকে ২৯ লক্ষ ভায়াল রেমডেসিভির তৈরি হয়। মে থেকে মাসে ৭৪ লক্ষ ভায়াল উৎপাদনের লক্ষ্য রাখা হয়েছে। কালোবাজারি এড়িয়ে যাতে সরাসরি সেগুলি রোগীদের কাছে পৌঁছয়, তেমন ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন মোদী।