প্রতীকী ছবি।
কোভিড চিকিৎসায় প্লাজমাথেরাপি খুব বেশি ‘কার্যকরী’ নয়। ন্যাশনাল হেলথ ক্লিনিক্যাল প্রোটোকল থেকে তাই প্লাজমাথেরাপিকে সরিয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। মঙ্গলবার এমনটাই জানাল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ(আইসিএমআর)।
নয়াদিল্লিতে এ দিন এক সাংবাদিক বৈঠক ডেকে আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব জানান, বেশি কিছু সমীক্ষা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, কোভিডে মৃত্যু কমাতে প্লাজমাথেরাপি খুব একটা কার্যকরী হচ্ছে না। কোভিডের চিকিৎসায় ভারতে প্রথম এই থেরাপির কথা সামনে আসে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে। দিল্লিতে কোভিড আক্রান্ত এক রোগীকে প্লাজমাথেরাপি দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু প্লাজমাথেরাপি কতটা কার্যকর তা নিয়ে প্রথম থেকেই একটা প্রশ্নচিহ্ন থেকে গিয়েছিল। আদৌ কী এই থেরাপি কোভিড চিকিৎসার উপযোগী, এ নিয়ে নানা তর্ক-বিতর্কও রয়েছে। কিছু কিছু রাজ্যে কোভিড রোগীদের জন্য প্লাজমাথেরাপি চালুও করা হয়েছে। আইসিএমআর এ বার সেই সব সমীক্ষার প্রসঙ্গ তুলে ধরে দেশের ক্লিনিক্যাল প্রোটোকল থেকে এই থেরাপিকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে।
আরও পড়ুন: আটক চিনা সেনাকে এখনই ছাড়া হবে না, মানা হবে প্রোটোকল
হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, রেমডেসিভির-এর মতো ওষুধও কোভিড চিকিৎসায় খুব ভাল সাড়া দিচ্ছে না বলেও এ দিন বৈঠকে দাবি করেন ভার্গব। পুনরায় কোভিড আক্রান্ত হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে এর পর তিনি বলেন, “যদি পাঁচ মাসের মধ্যে অ্যান্টিবডি দুর্বল হয়ে পড়ে তা হলে পুনরায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই যাঁরা এক বার সুস্থ হয়ে উঠছেন, সাবধানতা অবলম্বন করুন।” এই কারণেই মাস্ক পরা অত্যন্ত জরুরি বলেও সতর্কবার্তা দিয়েছেন ভার্গব।