গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
শনিবারই দেশে সংক্রমণের সংখ্যা ১ কোটি ছাড়িয়েছে। মোট সংক্রমণের গ্রাফটা ঊর্ধ্বমুখী হলেও, দৈনিক সংক্রমণ একটু একটু করে কমছে। অগস্ট থেকে নভেম্বরের মধ্যভাগ পর্যন্ত সংক্রমণ দ্রুত হারে বাড়লেও, তার পর থেকে সংক্রমণের গতিটা কিছুটা শ্লথ হয়েছে। যা অনেকটাই স্বস্তির খবর।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রবিবারের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২৬ হাজার ৬২৪ জন। ফলে মোট সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৩১ হাজার ২২৩।
সংক্রমণের নিরিখে ভারত এখনও দ্বিতীয় স্থানে। আমেরিকার পর। সংক্রমণের হার যেমন কমছে, তেমন সুস্থ হওয়ার হারও বাড়ছে। প্রায় ৯৬ লক্ষ লোক ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৯ হাজার ৯৬০। মোট সুস্থ হয়েছেন ৯৫ লক্ষ ৮০ হাজার ৪০২।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩৪১ জনের। প্রতি দিন একটু একটু করে কমছে সংখ্যাটা। যা একটা সদর্থক দিক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ পর্যন্ত দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৪৭৭ জনের।স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি, দেশে যত মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে ৫৩ শতাংশই ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একে শীতকাল, তার উপর সামনে বড়দিন এবং নতুন বছর আসছে। এই সময় আরও সতর্ক পদক্ষেপ না করলে পরিস্থিতি ফের গুরুতর হয়ে উঠতে পারে। মাস দুয়েক আগে উৎসবের মরসুমে হু হু করে বাড়তে শুরু করেছিল সংক্রমণ। কিন্তু এ বার সেই ভুল করলে বিপদ আরও বাড়তে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
বড়দিন এবং নতুন বছরে যাতে সংক্রমণ না বাড়ে তাই আগেভাগেই ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ ফের ধাপে ধাপে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই ভারতের ক্ষেত্রেও আগাম সতর্কবার্তা দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।