ছবি এএফপি।
করোনার সংক্রমণ রুখতে দেশজোড়া লকডাউনের মধ্যে যাতে খবরের কাগজ কিংবা বৈদ্যুতিন মাধ্যমে (যেমন, টিভি চ্যানেল) সংবাদ পরিবেশনে বাধা না-পড়ে, সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে তা নিশ্চিত করতে অনুরোধ জানাল কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক।
সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য সচিবদের এই মর্মে পাঠানো চিঠিতে ডিরেক্টর গোপাল সাধওয়ানি লিখেছেন, এই কঠিন সময়ে প্রতি দিন, প্রতি মুহূর্তে সাধারণ মানুষের কাছে সঠিক খবর পৌঁছনো জরুরি। যাতে আমজনতা এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এবং সচেতন থাকতে পারেন। বিভিন্ন সরকারি সিদ্ধান্ত এবং নির্দেশও এই সংবাদমাধ্যমের মারফত সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছনো জরুরি। হাজারো গুজব, ভুয়ো এবং মিথ্যে খবরে সোশ্যাল মিডিয়া ছয়লাপ। এই কঠিন সময়ে তাকে টপকে সত্যিকারের খবর আমজনতার দরজায় না-পৌঁছলে, তাঁদের আরও বিভ্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা। অনেক ক্ষেত্রেই তা নিশ্চিত করে মূল ধারার সংবাদমাধ্যম (ছাপা ও বৈদ্যুতিন)। তাই তাদের কাজকর্ম যাতে ধাক্কা না-খায়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়ে রাজ্যগুলিকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে রেখেছেন খবরের কাগজ, টিভি চ্যানেল, খবরের এজেন্সি, ডিরেক্ট টু হোম (ডিটিএইচ), মাল্টি সিস্টেম অপারেটর (এমএসও), কেবল অপারেটর, এফএম রেডিয়ো, কমিউনিটি রেডিয়ো ইত্যাদিকে।
সাধওয়ানির মতে, করোনার সঙ্গে পাঞ্জা কষার এই কঠিন সময়ে সঠিক খবরের নিরবচ্ছিন্ন স্রোত বজায় থাকা একান্ত জরুরি। তাই তা নিশ্চিত করতে যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান এবং পরিকাঠামো মসৃণ ভাবে চলা জরুরি, সেগুলির উপরে রাজ্যগুলিকে নজর দিতে অনুরোধ করেছেন তিনি। তার মধ্যে রয়েছে— ছাপাখানা, খবরের কাগজ ও পত্রিকা (ম্যাগাজিন) বাড়ি-বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার পরিকাঠামো, সমস্ত টিভি চ্যানেল ও তার সহযোগী পরিকাঠামো (যেমন, টেলিপোর্টস, ডিএসএনজি), এফএম নেটওয়ার্ক, নিউজ় এজেন্সি ইত্যাদি।
এই সমস্ত প্রতিষ্ঠান এবং পরিকাঠামো যাতে মসৃণ ভাবে চলতে পারে, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে মুখ্য সচিবদের অনুরোধ জানিয়েছেন ডিরেক্টর। যে সমস্ত বিষয় দেখতে বলার কথা লেখা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে— লকডাউনের মধ্যেও এদের খোলা রাখার বন্দোবস্ত, এই সমস্ত সংস্থা এবং তাদের সরবরাহকারীদের জোগান-শৃঙ্খলে (সাপ্লাই চেন) যাতে ছেদ না-পড়ে, তাতে নজর, কর্মীদের পথে যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া, প্রয়োজনে জ্বালানি জুগিয়েও সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের গাড়ি চলাচল বহাল রাখা, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জোগান নিশ্চিত করা ইত্যাদি।
সংশ্লিষ্ট সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানগুলি পরিষেবা দিতে কোনও সমস্যার মুখে পড়লে, স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাদেরও।