National News

দিল্লি থেকে মধ্যপ্রদেশের বাড়িতে ফেরার চেষ্টা, ২০০ কিমি হেঁটে রাস্তাতেই মৃত্যু যুবকের

আগ্রার কাছে এক বার অসুস্থ হয়ে পড়েন। মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলায় বাড়ি থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে হৃদরোগে আক্রান্ত হন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২০ ১০:৪৫
Share:

এ ভাবেই ঘরে ফিরছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। প্রতীকী ছবি

লকডাউনের জেরে বন্ধ ট্রেন, বাস-সহ সমস্ত রকম পরিবহণ। তাই হেঁটেই দিল্লি থেকে মধ্যপ্রদেশের বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেছিলেন। ২০০ কিলোমিটার চলেও গিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়ির কাছে এসেও ঘরে ফিরতে পারেননি। কার্যত রাস্তায় পড়ে মৃত্যু হল মধ্যপ্রদেশের ৩৮ বছরের এক যুবকের। রণবীর সিংহ নামে মধ্যপ্রদেশের ওই যুবকের বাড়ি মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলায়, দিল্লি থেকে দূরত্ব ৩০০ কিলোমিটারেরও বেশি।

Advertisement

রণবীর একটি সংস্থায় ডেলিভারি এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের ঘোষণার পর থেকেই কাজ বন্ধ। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে খবর, মাসের শেষ দিকে টাকা পয়সা তেমন হাতে ছিল না। আবার টাকা থাকলেও হোটেল, দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খাবার জোগাড় করাই সঙ্কট হয়ে দাঁড়িয়েছিল রণবীরের কাছে। তাই হেঁটেই ঘরে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তীব্র গরমে দীর্ঘ পথ হাঁটার ক্লান্তি আর শক্তিক্ষয়ের জেরে আগরার কাছে প্রথমে অসুস্থ হয়ে পড়েন রণবীর। স্থানীয় এক দোকানদার লক্ষ্য করে তাঁকে শুশ্রুষা করার পর চা-বিস্কুট খেতে দেন। কিছুটা সুস্থ বোধ করার পর আবার হাঁটতে শুরু করেন। কিন্তু বাড়ি থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। রাস্তাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।

Advertisement

আরও পড়ুন: লাগাম নেই সংক্রমণে, বিশ্বে মৃত্যু ছাড়াল ৩০ হাজার: করোনা আপডেট

আরও পড়ুন: লকডাউন: দিল্লির সড়কে চলেছে শ্রমিক মিছিল

পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পরিবারের লোকজনকেও জানানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর দেহ বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।

লকডাউনের পর সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। যানবাহন সব বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে হেঁটেই কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরছেন হাজার হাজার মানুষ। অনেকে পরিবার, শিশু-সন্তান নিয়েও ফিরছেন। আগাম পরিকল্পনা না করে আচমকা লকডাউন ঘোষণা হয়েছে বলে অভিযোগ করে সমালোচনায় সরব হয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী-সহ অনেক বিরোধীই। তাঁদের দাবি, এর জেরে মহাসঙ্কটে পড়েছেন এই সব শ্রমিকশ্রেণির মানুষ।

অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement