চতুর্থ দফায় ৩১ মে পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হল দেশ জুড়ে। এই দফায় উল্লেখযোগ্য ভাবে আন্তঃরাজ্য এবং রাজ্যের মধ্যে বাস এবং যাত্রিবাহী পরিবহণে ছাড় দেওয়া হলেও বন্ধ থাকবে বিমান বা মেট্রো পরিষেবা। তবে এই দফায় রাজ্যকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে পরিস্থিতি অনুযায়ী রাজ্যে রেড, অরেঞ্জ জোন নির্ধারণ করতে পারবে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক লকডাউন-৪। কী কী ছাড় এবং কী কী নিষিদ্ধ থাকবে এই দফায়
আন্তঃরাজ্য এবং রাজ্যের মধ্যে যাত্রিবাহী বাস এবং অন্যান্য যান বাহন চলাচল করতে পারবে। তবে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য।
বন্ধ থাকবে বিমান পরিষেবা।
চলবে না মেট্রো রেলও, পূর্ববর্তী নির্দেশ অনুযায়ী বিশেষ ট্রেন ও শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন ছাড়া চলবে না অন্য কোনও ট্রেন।
স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যলয়-সহ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
হোটেল, রেস্তরাঁ, রিসর্ট বন্ধ থাকবে আগের মতোই।
বন্ধ থাকবে সিনেমা, থিয়েটার, স্টেডিয়াম, প্রেক্ষাগৃহ, পানশালা, বিনোদন পার্ক এবং শপিং মল।
রাজনৈতিক, ধর্মীয়, বা অন্যান্য যে কোনও ধরনের জমায়েত আগের মতোই নিষিদ্ধ থাকবে।
ধর্মীয় উপাসনাস্থল সমস্ত বন্ধ থাকবে। কোনও ধরনের ধর্মীয় জমায়েত কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গাইডলাইন মেনে রাজ্যের রেড, অরেঞ্জ এবং গ্রিন জোন কোন গুলি হবে তা নির্দিষ্ট করবে রাজ্য।
রেড এবং অরেঞ্জ জোনের মধ্যে কনটেনমেন্ট জোন এবং বাফার জোন নির্দিষ্ট করবে স্থানীয় প্রশাসন।
কনটেনমেন্ট জোনের মধ্যে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিষেবা ছাড়া বাকি সমস্ত নিষিদ্ধ। চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয়তা ছাড়া মানুষের যাতায়াতও নিষিদ্ধ।
সন্ধ্যা ৭ টা থেকে সকাল ৭ টা পর্যন্ত মানুষের রাস্তায় চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। রাতের কারফিউ কঠোর ভাবে বলবৎ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৬৫ বছরের বেশি বয়সী, জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি, অন্তঃসত্বা মহিলা এবং ১০ বছরের কম বয়সীদের বাড়িতে থাকতেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।