প্রতীকী ছবি।
আন্তঃরাজ্য বাস বন্ধ। লকডাউনে আগেই বন্ধ হয়েছে ট্রেন চলাচল। কিন্তু তার পরেও লরি, ছোট গাড়ি— যে যা পেয়েছেন, তাতে করেই ঘরে ফিরেছেন। উত্তরপ্রদেশে এমন পরিযায়ী শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যা লক্ষাধিক। ভিন রাজ্য থেকে ঘরে ফেরা এ রকম প্রায় এক লক্ষ মানুষকে কোয়রান্টিনের ব্যবস্থা করল উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, ঘরবন্দিদের খাদ্যদ্রব্য-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সব জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের।
করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় গত ২৫ জানুয়ারি সারা দেশে তিন সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসন একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, লকডাউনের পর গত তিন দিনে রাজ্যে প্রায় এক লাখ মানুষ ভিন রাজ্য থেকে ঘরে ফিরেছেন। তাঁদের সবাইকেই হোম কোয়রান্টিন বা গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের নাম-ঠিকানা ও ফোন নম্বর জেলা শাসকদের দেওয়া হয়েছে। তাঁরা গৃহবন্দি থাকছেন কি না, তা পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য সব জেলার প্রশাসনকে পর্যবেক্ষণে রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু এই সব মানুষজনের অধিকাংশই দিনমজুর বা ছোট সংস্থায় কাজ করা দরিদ্র পরিবারের। ফলে তাঁদের রুজি-রুটি বন্ধ। খাবার জোগাড় করাই মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই কারণেই তাঁরা যাতে অভুক্ত না থাকেন, সেই বিষয়টিও দেখতে বলা হয়েছে। সরকারের জারি করা বিবৃতিতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনে তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌঁছে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: লকডাউন অমান্য মানে জীবন নিয়ে খেলা, সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী
আরও পড়ুন: সরকারি উদ্যোগে বাড়ি বসেই মিলবে মাছ
প্রশাসনিক আধিকারিক ছাড়াও পঞ্চায়েত প্রধান, আশা কর্মী, আধা সরকারি কর্মীদেরও বিষয়টি নজরে রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্য রাজ্য থেকে কেউ ফিরলে পুলিশ-প্রশাসনকে জানানোর কথা বলা হয়েছে তাঁদের। আবার কেউ কোয়রান্টিনে না থাকলে, তাঁদের বিষয়েও পুলিশকে খবর দিতে বলা হয়েছে।
অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।