রাজনাথ সিংহের নেতৃত্বে আজই বৈঠক। ছবি: পিটিআই।
প্রায় একমাস যাবৎ লকডাউনের পর সোমবার থেকে বেশ কিছু ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ শিথিল করেছে কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্যের সরকার। কিন্তু ৩ মে-র পরও কি দেশজুড়ে লকডাউন থাকবে? নাকি করোনা হটস্পটগুলি বাদ দিয়ে বাকি জায়গা থেকে যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে? বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখতে আজই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
প্রথম দফায় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করলেও, পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরে ৩ মে পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। ২০ এপ্রিল থেকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ শিথিল করলেও, এখনও বাড়ির বাইরে পা রাখায় নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে দেশের প্রায় সর্বত্রই। তবে এর মধ্যে কেরলের মতো ব্যতিক্রমী রাজ্যও রয়েছে, যেখানে হটস্পটগুলি বাদ দিয়ে বাকি জায়গাগুলিতে দোকান-বাজার খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আর তাতেই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। দিল্লি সূত্রে খবর, ৩ মে-র পর লকডাউন চালু রাখার পক্ষে এখনও পর্যন্ত কোনও রাজ্যকেই সওয়াল করতে দেখা যায়নি। তাই এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মতামত জানতে আজ তাঁদের নিয়ে বৈঠক করতে চলেছেন রাজনাথ সিংহ। তবে লকডাউন যদিও বা না বাড়ানো হয়, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মাস্ক পরে রাস্তায় বেরনো বাধ্যতামূলক থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আন্তঃরাজ্য ট্রেন ও বিমান পরিষেবাও ১৫ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখা হতে পারে বলে জল্পনা।
আরও পড়ুন: ১৮ হাজার ছাড়াল দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৪৭
আরও পড়ুন: করোনার ধাক্কায় আমেরিকায় তেলের দামে ঐতিহাসিক পতন, পরে কিছুটা বৃদ্ধি দামে
তবে মুম্বই, দিল্লি এবং নয়ডার মতো শহরগুলি, যেখানে করোনার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি, সেখান থেকে লকডাউন কীভাবে তুলে নেওয়া হবে, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। দিল্লি সূত্রে জানা গিয়েছে, হটস্পটগুলিকে বাদ দিয়ে ধাপে ধাপে নিয়ন্ত্রণ শিথিল করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে বাড়ির বাইরে বেরনো, এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাতায়াতে বাধা না থাকলেও, বিয়েবাড়ি, ধর্মীয় সমাবেশ এবং সবরকমের জমায়েত নিষিদ্ধই থাকবে। বিভিন্ন সংস্থাকে কাজকর্ম পুনরায় চালু করায় অনুমতি দিলেও, বেশ কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হতে পারে তাদের।
লকডাউন তোলা নিয়ে যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে প্রায় একমাস যাবৎ লকডাউনে সংক্রমণের হারে কিছুটা রাশ টানা গিয়েছে বলে সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল। তিনি জানান, লকডাউনের আগে সারা দেশে ৩.৪ দিনে যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছিল, এখন বৃদ্ধির হার কমে গিয়ে ৭.৫ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)