চেন্নাইয়ে একটি বাজারের সামনে এ ভাবেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা চলছে। ছবি: এএফপি
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে সামাজিক দূরত্বই একমাত্র দাওয়াই। চিকিৎসক থেকে বিজ্ঞানী, প্রশাসন থেকে বিশেষজ্ঞ-- সবাই বার বার এ কথা বলছেন। কেন বলছেন, তার গুরুত্ব বোঝা গেল কেন্দ্রের একটি সমীক্ষার হিসেবে। কোনও রকম সামাজিক দূরত্ব না থাকলে মাত্র একজন করোনা আক্রান্ত রোগীর থেকে এক মাসে সংক্রমণ হতে পারে ৪০৬ জনের। আর সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলে সেটাই নেমে আসতে পারে মাত্র ২.৫-এ।
প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রুটিন সাংবাদিক বৈঠকে দেশের করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা থেকে তিনি বলেন, ‘‘নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’
কোনও রোগ সংক্রামক কি না তা নির্ধারণের একক হল ‘আর-জিরো’ বা ‘আর-নট’। লব আগরওয়াল জানান, একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, এই এককের হিসেবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার ১ থেকে ৪-এর মধ্যে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই হার ২.৫। অর্থাৎ এক জনের থেকে গড়ে আড়াই জনের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে এই ভাইরাস।
আরও পড়ুন: করোনা-লকডাউনের প্রথম ধাক্কাতেই বেকারত্বের হার বেড়ে ২৩ শতাংশ
আরও পড়ুন: রাজ্যে করোনায় মৃত ৫, আক্রান্ত ৬৯, বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
লব আগরওয়াল জানান, এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে গবেষকরা দেখেছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি যদি আইসোলেশন বা কোয়রান্টিনে না থাকেন এবং সমস্ত স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে থাকেন, তা হলে তাঁর থেকে মাত্র এক মাসের মধ্যেই ৪০৬ জন সংক্রমিত হতে পারেন। অথচ তিনি যদি কোয়রান্টিন বা আইসোলেশনে থাকেন এবং সমস্ত সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন, তাহলে তাঁর থেকে সংক্রমণের হার মাত্র ২.৫। অর্থাৎ তাঁর থেকে মাত্র আড়াই জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে।