ছবি: পিটিআই।
লাল, কমলা ও সবুজ— দ্বিতীয় পর্বের লকডাউনে ট্র্যাফিক সিগনালের রঙেই ভাগ করা হবে দেশের বিভিন্ন এলাকাকে। এই তিনটি জোন বা ভাগ অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হবে মানুষজনের বাড়ির বাইরে ঘোরাফেরা। লকডাউনের আওতা থেকে কোন কোন এলাকায় কী কী ক্ষেত্র ছাড় পাবে, তা-ও ওই রং অনুযায়ী আগে থেকেই ঠিক করা থাকবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সরকারি ভাবে এমন ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করা না হলেও শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকের পর এমন ইঙ্গিতই পাওয়া গিয়েছে। জীবনের সঙ্গে জীবিকা নির্বাহের মেলবন্ধন ঘটাতেই এমনটা করা হবে বলে হয়তো এ ধরনের ব্যবস্থা চালু করা হবে।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও দেশ জুড়ে লকডাউনের সময় বাড়িয়ে তা আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত করা হচ্ছে তা জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর সে কথা জানিয়ে দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেরা। ওই বৈঠকে লকডাউনের মেয়াদ নিয়ে আলোচনা ছাড়াও তা থেকে বেরনোর দিশা নিয়েও আলোচনা হয়। বৈঠকে প্রস্তাব করা হয়, লকডাউনের সময় সংক্রমিতদের সংখ্যার নিরিখে দেশের বিভিন্ন এলাকাকে তিনটি জোন বা ভাগে ভাগ করা হোক।
আরও পড়ুন: মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক হল রাজ্যে, জারি সরকারি নির্দেশিকা
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকের ওই প্রস্তাব গৃহীত হলে যে এলাকাগুলিতে করোনা-সংক্রমণ একেবারেই ঘটেনি, তাকে সবুজ ভাগে ফেলা হবে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, দেশে এমন ৪০০টি জেলা রয়েছে, যেখানে কোনও করোনা-আক্রান্ত নেই। কমলা ভাগে সেই সব এলাকা পড়বে, যেখানে ১৫ জনের কম আক্রান্ত হয়েছেন এবং সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়েনি। অন্য দিকে, যে এলাকাগুলিতে ১৫ জনের বেশি মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন, সেই এলাকাগুলিকে রাখা হবে লাল ভাগে।
আরও পড়ুন: করোনা: ৪০ বছরে সবচেয়ে দৈন্যদশার পথে দক্ষিণ এশিয়া, পূর্বাভাস বিশ্বব্যাঙ্কের
সবুজ বা গ্রিন জোন-এর ক্ষেত্রে ছোট বা মাঝারি শিল্পকে ছাড় দেওয়া হবে। কমলা বা অরেঞ্জ জোন-এ গণপরিবহণ ব্যবস্থায় আংশিক ছাড় এবং কৃষিকাজের ক্ষেত্রে পুরোপুরি ছাড় দেওয়া হবে। অন্য দিকে, লাল বা রেড জোন-এ পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।
লকডাউনের সময় দেশের পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ছাড়ের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি, ধান কাটার মরসুমে বেশ কিছু শিথিলতা দেখা যেতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)