নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র
করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউন নিয়ে সোমবারই মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে ভিডিয়ো বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১৭ মে-র পর লকডাউনের মেয়াদ বাড়বে কি না, বাড়লে কী ভাবে, তা নিয়েই আজ ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে কী কী বিষয়ে ছাড় দেওয়া হতে পারে, তার আভাসও মিলতে পারে প্রধানমন্ত্রীর এ দিনের ভাষণে।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে পঞ্চম ভিডিয়ো বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। ওই বৈঠকেই আরও কিছু ছাড় দিয়ে, ১৭ মে-র পরে ফের এক দফা লকডাউন বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন মোদী। তবে চতুর্থ দফার লকডাউনে কোন রাজ্যে, কতটা ছাড় দেওয়া হবে এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীদেরই জানাতে বলেছেন তিনি। আগামী ১৫ মে-র মধ্যে দেশের সব মুখ্যমন্ত্রীকেই এ নিয়ে লিখিত মতামত জানাতে হবে।
ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রথম দফার লকডাউনে যে-সব পদক্ষেপ দরকার হয়েছিল, তা দ্বিতীয় দফায় দরকার হয়নি। একই ভাবে তৃতীয় দফায় যে সব পদক্ষেপ দরকার পড়েছে, তা চতুর্থ দফায় দরকার পড়বে না।’’ ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় লকডাউন বিধি শিথিল করে, অর্থনৈতিক কাজকর্ম কিছুটা শুরু হয়েছে। সে কথা বৈঠকে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে মনে করা হচ্ছে, আগামী কয়েক দিনে দেশের অর্থনীতিতে আরও গতি আসতে পারে।
আরও পড়ুন: কোভিড টিকার তথ্য চুরির চেষ্টা চালাচ্ছে চিনা হ্যাকাররা, মার্কিন রিপোর্ট
গত ২৫ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন। ধাপে ধাপে তার মেয়াদ বেড়েছে। সেইসঙ্গে কিছু ছাড়ও দেওয়া হয়েছে। এর আগে করোনা সংক্রমণের নিরিখে দেশের বিভিন্ন অংশকে সবুজ, কমলা ও লাল, এই তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। সবুজ অর্থাৎ গ্রিন জোনে একাধিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে ছাড়পত্রও দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। সেইসঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিক, তীর্থযাত্রী, পড়ুয়াদের ঘরে ফেরাতে ‘শ্রমিক স্পেশাল’ও চালানো শুরু হয়। পাশাপাশি, এ দিন থেকেই বিশেষ প্যাসেঞ্জার ট্রেনও চালানোর ঘোষণা করেছে রেল। এই প্রেক্ষাপটেই ফের এক বার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ১৮ মে থেকে আরও কিছু ছাড়, আর এক দফা লকডাউনের ইঙ্গিত মোদীর
লকডাউনের জেরে প্রায় থেমে গিয়েছে দেশের অর্থনীতির চাকা। একইসঙ্গে দেশে করোনা সংক্রমণের সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে। তৃতীয় দফার লকডাউনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে, এ দিন আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এক দিকে সংক্রমণ রোখা, অন্য দিকে অর্থনীতিতে গতি আনা — এই দুই দিকেই সমান নজর রেখে সরকার কী ঘোষণা করে সে দিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ।