—ফাইল চিত্র।
ঘরবন্দি দেশে নাভিশ্বাস ওঠা দরিদ্রদের হাতে এই সঙ্কটে ভেসে থাকার মতো টাকাটুকু অন্তত দেওয়ার জন্য মোদী সরকারের কাছে আর্জি জানালেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। বিনামূল্যে খাদ্যশস্য বিলির পক্ষেও সওয়াল করেন এই কংগ্রেস নেতা। একমাত্র কোনও হৃদয়হীন সরকারই এটা করবে না বলে মন্তব্য করলেন চিদম্বরম। রবিবার চিদম্বরম বলেন, “বহু মানুষ কপর্দকশূন্য। খিদে মেটাতে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা।…কেন তাঁদের খাবারের দায়িত্ব নিতে পারছে না সরকার? কেনই বা তাঁদের সম্মানটুকু রাখতে বন্দোবস্ত করা হচ্ছে না অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম টাকা পাঠানোর?”
লকডাউনে প্রবল সঙ্কটের মুখে পড়া দরিদ্র, কাজ খোয়ানো শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে চাল-ডালের মতো খাদ্যশস্য যে তাঁদের বাড়িতে পাঠানো উচিত, সম্প্রতি আনন্দবাজারকে এক সাক্ষাৎকারে সে কথা বলেছেন অর্থনীতিবিদ এবং বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট কৌশিক বসু। লকডাউনের শুরুতে সরকার মাথাপিছু বাড়তি রেশনের কথা বলেছে ঠিকই। কিন্তু অভিযোগ, তা পৌঁছয়নি বহু জনের কাছে। পাঁচশো জন রেশন দোকানে লাইনে দাঁড়ালে, পেয়েছেন একশো জন। চিদম্বরমের প্রশ্ন, ফুড কর্পোরেশনের গুদামে যেখানে ৭.৭ কোটি টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে, তখন কেন তার একটি অংশ বিনামূল্যে বিতরণের পথে হাঁটবে না সরকার?
তা ছাড়া, লকডাউনের জেরে বহু কর্মী ইতিমধ্যেই কাজ খুইয়েছেন। দেশে বিপুল সংখ্যক মানুষ যখন এই প্রবল আর্থিক দুর্দশার মধ্যে, তখন তাঁদের এবং সেই সূত্রে অর্থনীতিকে জিইয়ে রাখতে তাঁদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন, আইএমএফের মুখ্য অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ প্রমুখ। একই দাবি তুলেছে কংগ্রেসও।
আরও পড়ুন: ‘ইচ্ছাকৃত হলে ফল ভুগতে হবে’, চিনকে হুমকি আমেরিকার
আরও পড়ুন: কোনও ভাবেই শিথিল করা হবে না লকডাউন, বার্তা কেজরীর
কিন্তু অনেকের প্রশ্ন, কোন পথে হেঁটে সরকারের সেই টাকা জোগাড় করা উচিত, সে বিষয়ে কংগ্রেস এখনও নীরব কেন? অভিজিতের বলা পথে হেঁটে বাড়তি নোট ছাপানো, নাকি সরকারি ব্যয় বাড়াতে রাজকোষ ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রাকে অগ্রাহ্য করা- কোনটি সঠিক পথ, সেই প্রশ্নের উত্তর দেয়নি কংগ্রেস। অথচ করোনা নিয়ে নিজেদের মত প্রকাশের জন্য গঠিত ওই দলের কমিটিতে রয়েছেন মনমোহন সিংহ, চিদম্বরমের মতো প্রাক্তন এবং পোড় খাওয়া অর্থমন্ত্রীরা।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)