সুরতের রাস্তায় পরিযায়ী শ্রমিকরা। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
ফের পরিযায়ী শ্রমিকদের বিক্ষোভে উত্তাল হল গুজরাতের সুরত। বাড়ি ফিরে যাওয়ার দাবি নিয়ে শনিবার রাস্তায় নেমেছিলেন কয়েক’শ পরিযায়ী শ্রমিক। বিক্ষোভে বাধা দিতে এলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বিক্ষোভ হটাতে কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটানো হয়। তাতে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে বেশ কয়েক জন আহতও হন।
এ দিনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে গত এক মাসে একাধিক বার এই ধরনের বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে সুরত-সহ গুজরাতের বিভিন্ন এলাকায়। তার মধ্যেই এ দিন পরিযায়ী শ্রমিকদের বিক্ষোভে তেতে উঠল সুরত। গয়না ও বস্ত্রশিল্পের কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত সুরতে লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকের বাস, যার ৯০ শতাংশই ওড়িশা থেকে গিয়েছেন। লকডাউনে রোজগারপাতি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তাঁরা।
এই সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি পাঠাতে বিশেষ ট্রেনেরও বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ পরীক্ষা না করে কারোকে রাজ্যে ঢুকতে দেওয়া যাবে না বলে সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছে ওড়িশা হাইকোর্ট। তার পরেই বৃহস্পতিবার শ্রমিকদের জন্য যে চালু করা তিনটি ট্রেন বাতিল করে নবীন পট্টনায়ক সরকার। তার আগে ভিন্ রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে আসা বাস চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
রাস্তায় পরিযায়ী শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: পরিযায়ীদের ট্রেন ঢুকতে দিচ্ছে না রাজ্য, মমতাকে চিঠি অমিতের
আরও পড়ুন: মদ্যপানের সে কাল-এ কাল
এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সেখান থেকে কাজ করতে আসা শ্রমিকরা। লকডাউনের জেরে রোজগারপাতি বন্ধ হয়ে গিয়েছে আগেই। লকডাউনের প্রথম দিকে সরকারের তরফে চাল-ডাল দিয়ে যা-ও বা সাহায্য করা হয়েছিল, গত কয়েক সপ্তাহে কিছুই মেলেনি বলে অভিযোগ করছেন অনেকে। এমনকি সরকারের ব্যবস্থা করে দেওয়া ট্রেনের ভাড়া নিয়েও জালিয়াতি চলছে বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় কোন ওরকমে যাতে বাড়ি পৌঁছতে পারেন, তার জন্যই রাস্তায় নেমে এসেছেন বহু মানুষ।