National News

একজনও যেন অভুক্ত না থাকে, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে ‘পরামর্শ’ সনিয়ার

গরীবদের ৫ কেজি করে খাদ্যশস্য দেওয়ার যে কর্মসূচি নিয়েছে কেন্দ্র, তার প্রশংসা করে কিছু পরামর্শও দিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২০ ১৯:১৯
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁঘী। —ফাইল চিত্র

রাজনীতি দূরে সরিয়ে রেখে করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় এককাট্টা হয়েছে দেশ। ফের তার প্রমাণ দিলেন সনিয়া গাঁধী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে আর্জি জানালেন, ‘‘দেশের এক জন মানুষও যেন অভুক্ত না থাকে।’’ গরীবদের ৫ কেজি করে খাদ্যশস্য দেওয়ার যে কর্মসূচি নিয়েছে কেন্দ্র, তার প্রশংসা করে কিছু পরামর্শও দিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী। তাঁর প্রস্তাব, বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওযার মেয়াদ তিন মাস থেকে বাড়িয়ে ছ’মাস করা হোক।

Advertisement

গত ২৪ মার্চ সারা দেশে তিন সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলেন সনিয়া গাঁধী। ফের সঙ্কটকালে সরকারের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে তিনি বলেছেন, ‘‘লকডাউনের জেরে দেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ খাদ্য সঙ্কটে ভুগছেন। এই ধরনের বিপর্যয়ের জন্য ভারতে পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে।’’

গরিবদের বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘‘জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইনে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত মাখাপিছু পাঁচ কেজি করে খাদ্যশস্য দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। কিন্তু এই পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার উপর সঙ্কট দীর্ঘমেয়াদী। সেই কারণেই কিছু পরামর্শ দিচ্ছি।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: স্তব্ধ অর্থনীতি, কিছু কল কারখানা দ্রুত খুলতে সওয়াল শিল্পমন্ত্রকের

এর পরেই তিনি লিখেছেন, ‘‘খাদ্যশস্যের পরিমাণ মাথাপিছু পাঁচ কেজি থেকে বাড়িয়ে ১০ কেজি করা হোক। উপভোক্তাদের এই খাদ্যশস্য দেওয়ার মেয়াদ বাড়ানো হোক আরও তিন মাস। অর্থাৎ এ বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এবং এই সেপ্টেম্বর পর্যন্তও বিনামূল্যেই খাদ্যশস্য দেওয়া হোক।’’

দারিদ্রসীমার নীচে গরিব শ্রেণির মানুষ যাঁদের ওই কার্ড আছে, তাঁরাই খাদ্যশষ্য পাচ্ছেন। সনিয়ার পর্যবেক্ষণ, লকডাউনের জেরে পরিস্থিতি এমন তৈরি হয়েছে যে, যাঁরা খাদ্য নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন, তাঁদের মধ্যেও অনেকে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। তাই তাঁর আর্জি, এই শ্রেণিকেও বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়া হোক।

আরও পড়ুন: কাজ নেই=পয়সা নেই আকালের ভয়াল সঙ্কেতে দিলীপ মাঝির বৃত্তান্ত

আবার লকডাউনের জেরে পণ্য পরিবহণে সমস্যা তৈরি হয়েছে। ফলে জোগানে ঘাটতি পড়ায় দাম বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও খাদ্যদ্রব্যের। সনিয়ার যুক্তি, ‘‘এই সব পদক্ষেপ মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে লড়াই করতে সাধারণ মানুষকে সাহায্য করবে। করোনার যুদ্ধে আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে এক জন মানুষও অভুক্ত না থাকেন।’’

রাজনৈতিক ভাবে সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে থেকেও এ ভাবে সরকারের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে সনিয়ার চিঠির প্রশংসাই করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। যদিও এ নিয়ে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি বা প্রধানমন্ত্রীর তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement