প্রতীকী ছবি।
নেহাত বাধ্য হয়েই সাইকেলখানা চুরি করেছিলেন তিনি। লকডাউনে কর্মহীন শ্রমিকটির বাড়ি ফেরার তাগিদ ছিল। প্রয়োজনও ছিল। কিন্তু উপায় ছিল না। প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে এতখানি রাস্তা হেঁটে যেতে পারতেন না মহম্মদ ইকবাল। ট্রেন, বাস মেলার আশা নেই। রাজস্থানের ভরতপুর থেকে উত্তরপ্রদেশের বরেলী— এই ২৫০ কিলোমিটার ফিরতে ওই দু’চাকাটি ছাড়া আর উপায় দেখেননি তিনি। তাই রাজস্থান-উত্তরপ্রদেশে সীমানায় ভরতপুরের রারা গ্রামের এক বাড়ি থেকে সাইকেলটি চুরি করেন ইকবাল। গোপনে চম্পট না দিয়ে থেকে গৃহকর্তার উদ্দেশে লিখে রেখে যান এক চিঠি। নাম-পরিচয় দিয়ে লেখা সেই চিঠির ছত্রে ছত্রে ফুটে উঠেছে এক অসহায় বাবার অপরাধবোধ।
হিন্দিতে লেখা সেই চিঠিতে ইকবাল বলেছেন, ‘‘আমি একজন শ্রমিক। নেহাতই অসহায়। আপনার সাইকেলটি নিয়ে চললাম। পারলে আমায় ক্ষমা করবেন। আমার কাছে এ ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। আমায় বরেলী পর্যন্ত যেতে হবে। সঙ্গে আমার প্রতিবন্ধী শিশুটি রয়েছে।’’ সকালে বারান্দা পরিষ্কার করার সময়ে চিঠিটি পান বাড়ির মালিক সাহেব সিংহ। পরে সংবাদমাধ্যমের হাতে পৌঁছয় সেটি।
আরও পড়ুন: ‘গৃহবন্দি’ নয়, দিল্লিতে চিকিৎসককে তালাবন্দি করল প্রতিবেশী