দোকান খোলা রাখায় ছাড় কেন্দ্রের। —ফাইল চিত্র।
দেশ জুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাগাতার বেড়েই চলেছে। তার মধ্যেই লকডাউন আরও খানিকটা শিথিল করল কেন্দ্রীয় সরকার। এ বার পাড়ার দোকানগুলিকে লকডাউনের আওতা থেকে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। বড় বড় শপিংমল, মার্কেট কমপ্লেক্স, সিনেমা হলগুলি আগের মতোই বন্ধ থাকবে। শনিবার থেকেই এই নির্দেশ কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে যে সমস্ত এলাকায় করোনা সংক্রমণ সে ভাবে ছড়িয়ে পড়েনি, যে এলাকাগুলি হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত হয়নি, শুধুমাত্র সেখানেই এই নির্দেশ বলবৎ হবে।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল লকডাউনের বিধিনিষেধ খানিকটা শিথিল করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ৩ এপ্রিলের পর আরও বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়ে পারে বলে জল্পনা চলছিল। তার মধ্যেই শুক্রবার গভীর রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে ছোট ব্যবসায়ীদের লকডাউনের আওতা থেকে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়।
নর্থ ব্লক জানিয়েছে, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে গ্রামীণ এলাকায় অবস্থিত যে সমস্ত দোকান শপ্স অ্যান্ড এস্ট্যাবলিশমেন্ট আইনে নথিভুক্ত, সে গুলি খোলা রাখা যাবে। সেখানে খোলা রাখা যাবে রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্স এবং মার্কেট কমপ্লেসের মধ্যেকার দোকানগুলিও।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের টুইট।
আরও পড়ুন: শুধু মুম্বইতেই আক্রান্ত ৪৫৮৯, দেশে করোনা আক্রান্ত বেড়ে সাড়ে ২৪ হাজার
তবে ৫০ শতাংশ কর্মীকে নিয়ে কাজ চালাতে হবে ওই সব ব্যবসায়ীদের। দোকানের কর্মচারীদের সারা ক্ষণ মাস্ক-গ্লাভস পরে থাকতে হবে। বিকিকিনির সময় বজায় রাখতে হবে সামাজিক দূরত্ব। তবে ছোট দোকানগুলিকে খোলা রাখার অনুমতি দিলেও, এক বা একাধিক ব্র্যান্ডের পণ্য রয়েছে এমন শপিংমলগুলি আগের মতোই বন্ধ রাখতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
পুরসভার অন্তর্ভুক্ত এলাকাগুলির জন্য যদিও নিয়ম-কানুন আলাদা। সেখানে পাড়ার দোকান, রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্সের মধ্যে অবস্থিত দোকান, যেগুলি শপ্স অ্যান্ড এস্ট্যাবলিশমেন্ট আইনে নথিভুক্ত, সেগুলি খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাদেরও ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়েই কাজ চালাতে হবে।
এ ক্ষেত্রেও দোকানের সমস্ত কর্মচারীদের পরতে হবে মাস্ক-গ্লাভস। বিকিকিনির সময় বজায় রাখতে হবে সামাজিক দূরত্ব। তবে পুর এলাকার মধ্যে কোনও মার্কেট কমপ্লেক্স, এক বা একাধিক ব্র্যান্ডের পণ্য রয়েছে, এমন শপিংমলগুলি খোলার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: রাজ্যে মৃত বেড়ে ১৮, ‘কো-মর্বিডিটিতে’ আরও ৩৯
এর পাশাপাশি এ দিন শনিবার সকালে ফের বিবৃতি জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দেন, শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পণ্যই সরবরাহ করতে পারবে অনলাইন বিপণন সংস্থাগুলি। পাড়ার দোকানের পাশাপাশি পাড়ায় বা রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্সে অবস্থিত দরজির দোকানও খোলা রাখা যাবে। শপিং মল, সিনেমা হল, জিম, সুইমিং পুল, পানশালা, অডিটোরিয়াম এবং মদের দোকান বন্ধই থাকবে।
তবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ছাড় ঘোষণা করা হলেও, এই মুহূর্তে দোকান-বাজার খোলার পক্ষপাতী নয় একাধিক রাজ্য, যার মধ্যে অন্যতম হল দিল্লি এবং অসম। এ দিন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখার পরই এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে অরবিন্দ কেজরীবালের সরকার। অসম সরকার সোমবার এ নিয়ে বৈঠক করবে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)