National News

লকডাউনে অন্ধ্রে ঢোকার অনুমতি নেই, তেলঙ্গানা সীমানায় আটকে বহু পড়ুয়া

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২০ ১৩:৫০
Share:

অন্ধ্রপ্রদেশ-তেলঙ্গানা সীমানায় এ ভাবেই আটকে পড়েছেন বহু মানুষ। ছবি: পিটিআই

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। তার মধ্যেই তেলঙ্গানা-অন্ধ্রপ্রদেশ সীমানায় আটকে পড়েছেন বহু মানুষ। তাঁদের অধিকাংশই পড়ুয়া। নিজের রাজ্যে ঢোকার জন্য তেলঙ্গানা সরকার অনুমতি দিলেও অন্ধ্রপ্রদেশের পুলিশ-প্রশাসন তাঁদের ঢুকতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। তাঁদের কাছে নির্দেশ নেই, এই যুক্তিতে ‘পাস’ দিতে নারাজ অন্ধ্রপ্রদেশের পুলিশ-প্রশাসন। ফলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেও খাবার, পানীয় জলের সঙ্কটে কোনওরকমে দিন কাটছে তাঁদের।

Advertisement

হায়দরাবাদ শহরের বিভিন্ন থানার সামনে লম্বা লাইন। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে ঠায় দাঁড়িয়ে বা বসে রয়েছেন তাঁরা। আবার অন্ধ্রপ্রদেশ-তেলঙ্গানা সীমানাতেও একই পরিস্থিতি। প্রচুর যাত্রিবাহী ও মালবাহী গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। অপেক্ষায় প্রচুর মানুষ। অভিযোগ, অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ তাঁদের নিজের রাজ্যে ঢুকতে দিচ্ছে না। অন্ধ্র পুলিশের বক্তব্য, এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়ার অনুমতি নেই।

কিন্তু আটকে পড়া পড়ুয়া ও অন্যান্যদের দাবি, অন্ধ্রপ্রদেশ প্রশাসনের পক্ষ থেকেই জানানো হয়েছে, ঘরে ফেরার জন্য পুলিশ-প্রশাসন ‘পাস’ দেবে। কিন্তু পুলিশ আধিকারিকরা বলছেন, তাঁদের কাছে নির্দেশ নেই। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডির অতিরিক্ত সচিব পি ভি রমেশের বক্তব্য, ‘‘প্রধানমন্ত্রী যখন বলেছেন যে যেখানে আছেন, সেখানেই থাকতে, তখন তেলঙ্গানা সরকার কেন তাঁদের পাস দিচ্ছে?’’ আবার তেলঙ্গানার এক প্রশাসনিক আধিকারিক বলেছেন, হায়দরাবাদে ছাত্রাবাসগুলি স্বাভাবিক ভাবেই চলবে। ফলে পড়ুয়ারা সেখানে থাকতে পারবেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: করোনায় কাশ্মীরে প্রথম মৃত্যু, শ্রীনগরের হাসপাতালে মৃত ৬৫ বছরের বৃদ্ধ

অশোক নামে এক পড়ুয়া ঘটনাস্থল থেকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছন, ‘‘বহু পড়ুয়া বাড়ি ফিরতে চাইছেন। সকাল থেকে সবাই অপেক্ষা করে আছেন। কিন্তু অন্ধ্রপ্রদেশে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।’’ ওই পড়ুয়াদের বেশিরভাগই হস্টেল-মেসে থাকতেন। সেখানকার অভিজ্ঞতা জানিয়ে অশোক বলেছেন, ‘‘আমাদের সামনে আর কোনও উপায় ছিল না। হোটেল, দোকানপাট সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। হস্টেল-মেসের রান্নার লোকজনও আসছিল না। ফলে কয়েক দিন ধরে খাবার জোগাড় করাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।’’

এই সঙ্কটে সরকারকে সাহায্যের আর্জি জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘অন্তত এই পর্যন্ত যত লোক আটকে আছেন, তাঁদের ঘরে ফেরানোর অনুমতি দিন। বিদেশে আটকে পড়াদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী (জগনমোহন রেড্ডি) বিমান পাঠিয়েছেন। আর আমাদের নিজের বাড়ি ঢুকতে দিচ্ছেন না।’’

আরও পড়ুন: নেই বিদেশ সফরের ইতিহাস, রাজ্যে মিলল নতুন করোনা-আক্রান্তের খোঁজ

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী তেলঙ্গানায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪১। অন্য দিকে অন্ধ্রপ্রদেশে সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছে ১১ জনের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement