ছবি: এএফপি।
মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির জন্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সের প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে এক হাজারেরও বেশি বাঙালি পড়ুয়া রাজস্থানের কোটায় আটকে পড়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, উত্তরাখণ্ড থেকে কোটায় পড়তে আসা পড়ুয়াদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করে সেই রাজ্যের সরকার তাঁদের বাড়ি নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাংলার পড়ুয়ারা এখনও আটকে আছেন কোটার বিভিন্ন এলাকায়।
সোনারপুরের সুমনা হালদার, বারাসতের সৌম্যজিৎ সেনগুপ্তেরা কোটার রাজীব গাঁধী নগরে হস্টেলে থেকে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। তাঁরা ফোনে জানান, প্রশিক্ষণ শেষে তাঁরা জয়েন্ট মেন ও অ্যাডভান্স পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি চালাচ্ছিলেন। সুমনা বলেন, ‘‘কোটার আশপাশের এলাকাকে পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচন করে এখানে বসেই পড়াশোনা করছিলাম। কিন্তু লকডাউন ঘোষণার পরে আমাদের পরীক্ষা কেন্দ্র পাল্টে পশ্চিমবঙ্গকেই বেছে নিয়েছি। আমরা এখন বাড়ি ফিরতে চাই।’’
সৌম্যজিতেরা জানান, লকডাউন ঘোষণার প্রেক্ষিতে ট্রেন বন্ধের পরে তাঁরা হাতে সময় পেয়েছিলেন মাত্র দু’দিন। তার মধ্যে তাঁরা ট্রেনের টিকিট কাটতে পারেননি। আটকে যান। তাঁদের হস্টেলের খাবার আসে মেস থেকে। লকডাউনে খাবারের পরিমাণ তো কমছেই, মানও খুব খারাপ। পর্যাপ্ত পানীয় জলও অমিল।
সৌম্যজিৎ-সুমনাদের দাবি, দিন কয়েক আগেই ছত্তীসগঢ়, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের পড়ুয়ারা তাঁদের রাজ্য থেকে সরকারের পাঠানো বাসে বাড়ি চলে গিয়েছেন। সৌম্যজিৎ বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশ থেকে ৩০টা বাস এসেছিল। সেই সব বাসে প্রায় সব পড়ুয়াই বাড়ি চলে গিয়েছে।’’ আটকে পড়া অন্য এক ছাত্রী জানান, তাঁরা টুইটারে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভিডিয়ো-বার্তা পাঠিয়েছেন রাজ্যকে।
আটকে পড়া এক ছাত্র ফোনে বলেন, ‘‘আমরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘কোভিড হেল্পলাইনে’ ফোন করেছি। যিনি ফোন ধরলেন, তিনি প্রথমে প্রশ্ন করলেন, কোটা শহরটা কোথায়? তার পরে তিনি আমাদের সমস্যার কথা নথিভুক্ত করলেন। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। আমরাও যে-কোনও উপায়ে বাড়ি ফিরে যেতে চাই।’’
আরও পড়ুন: লকডাউন উঠলে কী কী হবে রেল স্টেশনে, চলছে মহড়া
আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের কাজের ব্যবস্থা করুন, রাজ্যগুলিকে নির্দেশিকা কেন্দ্রের
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)