গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
৫৩ দিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে চালু হওয়ার কথা ছিল রেলের অনলাইন বুকিং। কিন্তু শুরুতেই হোঁচট। আজ সোমবার বিকেল ৪টে থেকে বুকিং চালু হওয়ার কথা থাকলেও কার্যত কেউ বুকিং করতে পারেননি। কারণ বুকিংয়ের এতই চাপ যে বসে গিয়েছে আইআরসিটিসি-র ওয়েবসাইট। লগ ইন করতে পারছেন না টিকিট-প্রার্থীরা। পরে রেলমন্ত্রকের তরফে টুইট করে সমস্যার কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়। আইআরসিটিসি ওয়েবসাইটে জানানো হয়, সন্ধে ৬টা থেকে বুকিং করা যাবে। সেই অনুযায়ী দু'ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়েছে বুকিং।
রবিবারই রেল ঘোষণা করেছে, আগামিকাল অর্থাৎ ১২ মে থেকে ধাপে ধাপে যাত্রিবাহী ট্রেন চালানো হবে। তবে বুকিং কাউন্টার বন্ধ থাকবে। টিকিট বুকিং করতে হবে অনলাইনে— আইআরসিটিসি-র ওয়েবসাইট বা অ্যাপ থেকে। সেই বুকিং শুরু হওয়ার কথা ছিল বিকেল ৪টেয়। বিকেল ৪টে থেকেই টিকি্ট কাটতে ঝাঁপিয়ে পড়েন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বহু মানুষ। কিন্তু বারবার চেষ্টা করেও ওয়েবসাইট বা অ্যাপ কোনওটিতেই লগ ইন করতে পারেননি সাধারণ মানুষ। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়।
তার পরেই রেলমন্ত্রকের তরফে টুইট করে ঘোষণা করা হয়, ‘‘আইআরসিটিসির ওয়েবসাইটে ট্রেন ও বুকিং সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আপলোড করা হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রেনের বুকিং করা যাবে। দয়া করে অপেক্ষা করুন। সমস্যার জন্য দুঃখিত।’’ অন্য দিকে আইআরসিটিসি-র ওয়েবসাইট ও অ্যাপে দেখানো হয়, সন্ধে ৬টা থেকে ট্রেনের বুকিং শুরু হবে।''
আরও পড়ুন: স্পেশাল প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ভাড়া কত, কী কী নিয়ম আপনাকে মেনে চলতে হবে
আরও পড়ুন: লকডাউন আর কতদিন? মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
কিন্তু এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন নেটিজেনরা। কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, রবিবার ঘোষণার পর থেকে প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে রেলের কর্মীরা কী করছিলেন। শেষ মুহূর্তে এসে কাজ করলে এই অবস্থা হবেই। কারও বক্তব্য, বুকিং চালু হলে যে এক সঙ্গে বহু লোক টিকিট কাটার চেষ্টা করবেন, এতে আর আশ্চর্যের কী আছে। কিন্তু রেলের উচিত ছিল, সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই এগনো।
পরে অবশ্য সন্ধে ছ'টা থেকে বুকিং শুরু হয়েছে। রেলের দাবি, সন্ধ্যা ছ'টায় চালু হওয়ার পর থেকে আর কোনও সমস্যা হয়নি।