Coronavirus Lockdown

৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন, তবে স্থানভেদে বদলাবে নিয়মকানুন

এই সিদ্ধান্তের কথা আলাদা ভাবে জানালেন অরবিন্দ কেজরীবাল, বিএস ইয়েদুরাপ্পা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২০ ১৬:৩২
Share:

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স মুখ্যমন্ত্রীদের।

দেশ জুড়ে লকডাউনের মেয়াদ ছিল আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। কিন্তু এ বার তার মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। আরও দু’সপ্তাহ অর্থাৎ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

শনিবার সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকের পর ওই সিদ্ধান্তের কথা টুইট করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। গোটা দেশকে তিনটি জোনে ভাগ করে হবে লকডাউন। স্থান ভেদে বদলাবে নিয়মকানুনও। এর কিছু পরেই পৃথক ভাবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন কর্নাটকের মু্খ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

দেশ জুড়ে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উদ্বেগও। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য লকডাউনের সময়সীমা ও তার নিয়মকানুন বদলানোর কথা আগে থেকেই ভাবছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এ দিনের বৈঠকেও উঠে আসে সেই কথা। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, কোন এলাকায় সংক্রমণের প্রভাব কতটা, তার নিরিখে গোটা দেশকে লাল (রেড), হসুদ (ইয়েলো) ও সবুজ (গ্রিন) এই তিনটি জোনে ভাগ করা হবে। যেখানে করোনা সংক্রমণ বেশি অর্থাৎ যেখানে হটস্পট তৈরি হয়েছে সেই এলাকা রেড জোন বলে চিহ্নিত হবে। অর্থাৎ সেখানে নিয়মকানুনের কড়াকড়ি থাকবে। ইয়োলো জোনে নিয়মের কিছুটা শিথিলতা থাকবে। গ্রিন জোনে আরও কিছুটা ছাড় থাকবে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এর ইঙ্গিত দিয়েছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। পঞ্জাবে কৃষকরা অবশ্য এই লকডাউনের আওতায় পড়ছেন না।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগেই আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের ঘোষণা করেছিল ওড়িশা ও পঞ্জাব। এ দিনের বৈঠকে এক মাত্র মধ্যপ্রদেশ বাদ দিয়ে সব রাজ্যই লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানান মোদীর কাছে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, করোনা মোকাবিলায় দেশ জুড়ে একই কৌশল অবলম্বন করা হবে। পাশাপাশি সব মুখ্যমন্ত্রীদের উদ্দেশেই বলেন, ‘‘আপনারা কোনও তথ্য জানাতে ইতস্তত বোধ করবেন না।’’

রোজই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সারা দেশের নিরিখে মহারাষ্ট্র যেন সংক্রমণের ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি আঁচ করে এ দিন সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের প্রধানমন্ত্রী উদ্দেশে বলেন, ‘‘আমি আপনাদের জন্য সর্বক্ষণ কাজ করতে প্রস্তুত।’’ রোগ দমনে রাজ্যগুলির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার বার্তা দেন নরেন্দ্র মোদী। মুখ্যমন্ত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘আমরা যদি দেশ জুড়ে একই কৌশল অনুসরণ করি তা হলে, করোনাভাইরাস তো বটেই, এর পাশাপাশি আমরা অনেক ক্ষতিও এড়াতে পারব। আপনাদের প্রত্যেকের পরামর্শই শোনা হবে।’’

আরও পড়ুন: ঢোকা-বেরনো বন্ধ, খুলবে না বাজারও, রাজ্যের সম্ভাব্য হটস্পট এলাকাগুলি

করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এক জোট। এ দিন মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের সুর কার্যত এই লয়েই বেঁধে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সব রাজ্যকে বার্তা দিয়েছেন, তাদের জন্য সর্বক্ষণ কাজ করতে তৈরি রয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: শুধু লকডাউনেই নয়, ‘চা কাকু’র সারাজীবনের দায়িত্ব নিলেন মিমি চক্রবর্তী

এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ দেশের সব মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিয়ো কনফারেন্স শুরু হয়। চমক ছিল শুরুতেই। গত শনিবারই নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিয়েছিল, বাইরে বেরোলে ঘরে তৈরি বা পুনর্ব্যবহারযোগ্য মাস্ক পরা যাবে। এ দিন ঘরে তৈরি করা মাস্ক পরেই ভিডিয়ো কনফারেন্স শুরু করেন নরেন্দ্র মোদী। মুখ্যমন্ত্রীরাও বৈঠকে মাস্ক পরেই উপস্থিত হয়েছিলেন। এ দিনের বৈঠকে আর্থিক প্যাকেজ চেয়েছে অনেক রাজ্যই। একই সঙ্গে ভেন্টিলেটর, পার্সনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট-সহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবের কথাও প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীরা।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement