ফুল তুলে এনে জড়ো করছেন এক চাষি । জম্মুতে। ছবি: পিটিআই
লকডাউনের ফলে মন্দির বন্ধ। ফলে মাথায় হাত পড়েছে জম্মুর ফুলচাষিদের। তীর্থযাত্রীদের ফুল বিক্রি করে উপার্জনের পথ আপাতত বন্ধ।
‘মন্দিরের শহর’ হিসেবে পরিচিত জম্মু ২২ মার্চ থেকেই বন্ধ হয়ে রয়েছে। রিয়াসি জেলার বৈষ্ণোদেবী মন্দির বন্ধ হয়েছে ১৮ মার্চ। জম্মুর রঘুনাথ মন্দির, বাওয়ে ওয়ালি মাতা মন্দির, পীর খো মন্দিরও আপাতত করোনা প্রতিরোধের জন্য বন্ধ। মূলত এই মন্দিরগুলিতে আসা তীর্থযাত্রীদের ফুল সরবরাহ করেই সারা বছর উপার্জন করেন জম্মুর ফুলচাষিরা।
সুচেতগড় সেক্টরে আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে প্রায় দু’একর জমি আছে বছর পঞ্চান্নর অজিত রামের। জমি আপাতত গাঁদা ফুলে ভর্তি। সেখানেই দাঁড়িয়ে বললেন, ‘‘কয়েক বছর আগে ফুলের চাষ শুরু করেছি। গাঁদা ফুলের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তাই ওই ফুলের চাষই করি। এ বছরে চাষের জন্য দেড় লক্ষ টাকা লগ্নি করেছি।’’ অজিত বলছেন, ‘‘রোজ সকালে জম্মুর ইন্দিরা চকের কাছে ফুলের বাজারে যেতাম। এখন তো সবই বন্ধ।’’ তাঁর আক্ষেপ, চলতি বছরে আবহাওয়া ভাল ছিল। ফলনও হয়েছিল ভাল। কিন্তু লকডাউনের ফলে ফুল বিক্রির পথই বন্ধ হয়ে গেল।
কেবল অজিত নন, সুচেতগড়ের কোরটানা গ্রামের প্রায় ৮০টি পরিবারের সদস্যেরা তাঁদের জমিতে জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত চাষ করেন। জুলাইয়ে ফের শুরু করেন ধান চাষ। কোরটানার আর এক ফুলচাষি রাকেশ কুমারের মতে, সরকারের উচিত জম্মুর ফুলচাষিদের জন্য বিশেষ প্যাকেজের ব্যবস্থা করা।
আরও পড়ুন: লকডাউন উঠলে কী কী হবে রেল স্টেশনে, চলছে মহড়া
আর এক চাষি রামেশ্বর সিংহের বক্তব্য,‘‘আমরা ফুল চাষ থেকে একর প্রতি ২ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করি। চলতি বছরে চাষের জন্য যা লগ্নি করা হয়েছে সেই টাকাও ফেরত পাওয়া যায়নি।’’
আরও পড়ুন: কোনও ভাবেই শিথিল করা হবে না লকডাউন, বার্তা কেজরীর
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)