করোনা সংক্রমণ এবং লকডাউনের জেরে নাভিশ্বাস মানুষের। অন্য দিকে, প্রকৃতি যেন এই সুযোগে খোলা হাওয়ায় স্বস্তির শ্বাস নিতে পারছে। মানুষ ঘরবন্দি। বন্ধ বেশির ভাগ কলকারখানা। রাস্তায় গাড়ির সংখ্যাও অনেকটাই কম। দূষণের হার তলানিতে। ফলে চেনা জায়গা ধরা দিয়েছে অচেনা রূপে। আসুন দেখে নিই দেশের নানা শহরের আইকনিক কিছু জায়গার করোনা পূর্ববর্তী ও এখনকার সময়ের ছবি।
কলকাতার অন্যান্য ঐতিহাসিক স্মারকসৌধের মতো দূষণের কবলে বিবর্ণতার শিকার হয়েছিল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালও।
এখন দূষণবিহীন কলকাতায় অন্যরূপে ধরা দিয়েছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল।
দিল্লির ইন্ডিয়া গেট। বিষ-বাতাসে প্রায় বছরভর ঢাকা থাকত স্মগ বা ধোঁয়াশার পর্দায়।
লকডাউনে দূষণমুক্ত ইন্ডিয়া গেটের ঝকঝকে রূপ তাক লাগিয়ে দিচ্ছে।
চেনা যাচ্ছে না দিল্লির যমুনাকেও। চূড়ান্ত বায়ুদূষণের জেরে সারা বছর এই নদীতে ভেসে থাকত বিষাক্ত ফোম।
এখন দূষণ নেই। উধাও বিষাক্ত ফোম-ও। যমুনার জল কার্যত কাকচক্ষু এখন।
বেঙ্গালুরুর বৃষভবতী নদীর হাল হয়েছিল নিকাশি খালের মতো। দু’পাশে জমনে থাকত আবর্জনার স্তূপ।
এখন বৃষভবতীর টলটলে নীল জল দেখে হতবাক স্থানীয় বাসিন্দারাই।
দিল্লির অন্যতম ব্যস্ত কনট প্লেসে নীল আকাশ দেখতে পাওয়া ছিল দুর্লভ।
এখন সেখানে উধাও দূষণের পর্দা। পরিবর্তে ঝলমল করছে নীল আকাশের নীচে প্রাণখোলা সবুজ।
প্রাচীন শহর বারাণসীর গঙ্গায় দূষণের প্রকোপ ছিল তীব্র। পুণ্যার্থী এবং পর্যটকদের চাপে নদীর জল হারিয়ে ফেলেছিল স্বচ্ছতা।
এখন বারাণসীর প্রায় জনশূন্য ঘাট আর গঙ্গার জলে জলচর পাখিদের মেলা।
ভারতের অন্য বড় শহরগুলির মতো প্রাণ খুলে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে পারছে মুম্বই-ও। আগে বাণিজ্যনগরীর উপরেও থাকত দূষণের আস্তরণ।
এখন শহরের রূপ মুগ্ধ করছে ঘরবন্দি মুম্বইবাসীদের।
দূষণের জেরে লখনউ নগরীর ঐতিহাসিক স্থাপত্যও হারিয়ে ফেলেছিল তার আসল রূপ।
লকডাউনের ফলে হার মেনেছে দূষণ। রুমি দরওয়াজা থেকে বড়ে ইমামবড়া, নতুন করে যেন সামনে হাজির করছে ইতিহাসকে।
মুম্বইয়ের তালাওয়ে জলাজমি আগে ছিল বদ্ধ ও পরিত্যক্ত।
এখন সেখানে জলচর পাখিদের মেলা বসে দিনভর। ঘরের পাশেই প্রকৃতির এই অবাধ হাজিরা ভুলতে বসেছিল মুম্বইবাসী।
হরিদ্বারের হর কি পৌড়ী ঘাট সবসময়ই পুণ্যার্থীপূর্ণ থাকত।
এখন জনহীন এই পুণ্যভূমিতে গঙ্গা আরও অনেক বেশি স্বচ্ছ।
ভারতের আর পাঁচটা জনবহুল শহরের মতো পঞ্জাবের জালন্ধরও দূষণের শিকার ছিল।
এখন সেখান থেকে দেখা যাচ্ছে বরফে ঢাকা হিমালয় পর্বতশ্রেণি।