—ফাইল চিত্র।
দু’মাস পরে দেশের ভিতরে যাত্রী উড়ান চালানোর সিদ্ধান্তের কথা জানাল কেন্দ্র। বুধবার বিকেলে দেশের বিমানমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী টুইট করে জানান, ২৫ মে থেকে দেশীয় যাত্রী উড়ান পরিষেবা শুরু হবে। কলকাতা-সহ দেশের সমস্ত বিমানবন্দরকে এর জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
করোনার জন্য গত ২৪ মে রাত ১২টার পর সমস্ত দেশীয় উড়ান চলানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তার দু’দিন আগে থেকে আন্তর্জাতিক উড়ানের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তখন থেকে আজ পর্যন্ত কোনও যাত্রী-উড়ান চলেনি। মাঝে শুধু দেশের ভিতরে এবং কিছু আন্তর্জাতিক রুটে পণ্য নিয়ে বিমান ওঠানামা করেছে। এ ছাড়া জরুরি কারণে রোগীদের স্থানান্তরিত করার জন্য ছোট বিমানকে ওড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
১৭ মে-র পর থেকে আস্তে আস্তে লকডাউন তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দেশীয় উড়ানের অভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে থাকা বহু মানুষ নিজেদের শহরে ফিরতে পারছেন না। এ নিয়ে ক্রমাগত মন্ত্রক এবং কেন্দ্রীয় সরকারের উপরে চাপ আসতে শুরু করে। মন্ত্রী মঙ্গলবার জানান, দেশীয় উড়ান চালু করার সিদ্ধান্তটা শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের নয়। যে রাজ্য থেকে উড়ান পরিষেবা চালু হবে সেই রাজ্যকেও রাজি হতে হবে। এ নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের প্রতিনিয়ত আলোচনাও চলছিল বলে বিমান মন্ত্রকের একটি সূত্র জানিয়েছে।
বুধবার বিমানমন্ত্রী জানিয়েছেন, নতুন নিয়মাবলী খুব শীঘ্রই পেশ করা হবে। হরদীপ জানান, ২৫ মে থেকে খুব কম সংখ্যক উড়ান দিয়ে পরিষেবা শুরু হবে। এ ক্ষেত্রে দু’টি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এখনও ২৫ মে থেকে টিকিট বিক্রির কথা জানায়নি উড়ান সংস্থাগুলি। দুই, কোন সংস্থার উড়ান কোন সময়ে বিমানবন্দর থেকে ওড়ার সুযোগ পাবে তা এখনও ঠিক হয়নি। বিমান মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, যে হেতু ঘণ্টায় চারটের বেশি উড়ান থাকবে না, তাই উড়ান সংখ্যা সীমিত থাকবে। তাই, এই সময়-সূচি বা স্লটের জন্য আবেদন করতে হবে উড়ান সংস্থাগুলিকে।
সূচিতে কলকাতা
বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর জন্য কেন্দ্র যে ‘বন্দে ভারত’ প্রকল্প নিয়েছে তার দ্বিতীয় দফার উড়ানসূচিতে দু’টি উড়ান পাচ্ছে কলকাতা। শ্রীলঙ্কার কলম্বো থেকে এবং মায়ানমারের ইয়াঙ্গন থেকে দু’টি উড়ান ২৯ মে শহরে আসার কথা। বিমান মন্ত্রক সূত্রের খবর, এর মধ্যে ইয়াঙ্গন থেকে আটকে পড়া ভারতীয়দের নিয়ে সরাসরি উড়ান নামবে কলকাতায়। ঠিক হয়েছে মুম্বই থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার উদ্ধারকারী বিমানটি যাবে ইয়াঙ্গন। সেখান থেকে যাত্রীদের তুলে প্রথমে সে কলকাতায় নামবে। দ্বিতীয় উড়ানের ক্ষেত্রে ঠিক হয়েছে, মুম্বই থেকে বিমান যাবে কলম্বো। সেখান থেকে যাত্রীদের নিয়ে প্রথমে সেটি মুম্বইতে ফিরবে। সেখান থেকে ভুবনেশ্বর ছুঁয়ে আসবে কলকাতায়। দু’টি উড়ানই ফেরার পথে কলকাতা থেকে সরাসরি মুম্বই ফিরে যাবে।