প্রতীকী ছবি।
যাত্রিবাহী ট্রেন আজ, মঙ্গলবার ফের চালু হয়ে যাচ্ছে। এর পরেই দেশের মধ্যে উড়ান পরিষেবা চালু করতে চাইছে কেন্দ্র। ১৭ মে লকডাউন উঠে গেলে পরের দিন থেকেই যাতে সীমিত সংখ্যায় ঘরোয়া উড়ান চালানো যায়, তার পরিকল্পনা চলছে।
বিমান মন্ত্রকের খবর, শুরুতে কোনও বিমানবন্দর থেকেই প্রতি ঘণ্টায় চারটির বেশি উড়ান ছাড়বে না। কোনও কোনও শহরে ঘণ্টায় অনধিক তিনটি উড়ানও চালানো হতে পারে। তুলনায় যাত্রীও নেওয়া হবে কম। সে-ক্ষেত্রে উড়ানের টিকিটের দাম বাড়তে পারে। বিমানবন্দরে যাত্রীদের টিকিট বা পরিচয়পত্র ছুঁয়ে দেখবেন না নিরাপত্তারক্ষীরা। তা দেখার জন্য সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে।
কোন কোন শহর থেকে উড়ান পরিষেবা চালু হবে, তা এখনও নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি। সেই তালিকায় কলকাতার নাম রয়েছে কি না, স্পষ্ট হয়নি তা-ও। সোমবার ডিজিসিএ, সিআইএসএফ, এয়ারপোর্ট অথরিটি ও দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা দিল্লি বিমানবন্দরে গিয়ে প্রস্তুতির বিষয়টি খতিয়ে দেখেন।
বিমান মন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, “বেসরকারি সংস্থাগুলি উড়ান চালু করতে মরিয়া। সরকারও আস্তে আস্তে উড়ান পরিষেবা স্বাভাবিক করতে চাইছে। তাই ১৮ মে থেকে উড়ান চালানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ওই দিন ফের উড়ান শুরু হলে তার দিন চারেক আগে টিকিট বিক্রি শুরু হবে।” এই বিষয়ে বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে কেন্দ্র। শুধু রাজ্য চাইলেই হবে না, সংশ্লিষ্ট শহর রেড জ়োনে রয়েছে কি না, সেখানে কন্টেনমেন্ট জ়োন আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে। কারণ, কলকাতা থেকে কম উড়ান চালু হলেও বিমানবন্দর থেকে বাস-ট্যাক্সির মতো সাধারণ যাত্রী পরিবহণের ব্যবস্থা রাজ্য সরকারকে করতে হবে বলে মনে করছেন বিমান মন্ত্রকের কর্তারা।
মন্ত্রকের কর্তাদের বক্তব্য, প্রতি ঘণ্টায় সময়ের ব্যবধান রেখে উড়ান চালালে কখনওই বিমানবন্দরে একসঙ্গে দু’টি উড়ানের যাত্রীরা ছাড়া অন্যেরা থাকবেন না। একটি উড়ানের যাত্রীরা বিমানবন্দরে ঢুকে সংশ্লিষ্ট সংস্থার চেক-ইন কাউন্টারে পৌঁছলে কিছু সময়ের ব্যবধানে দ্বিতীয় সংস্থার কাউন্টারে পাঠানো হবে পরের উড়ানের যাত্রীদের। নিরাপত্তা বেষ্টনীতেও দু’টি উড়ানের যাত্রীদের দূরে দূরে রাখা হবে। দু’টি উড়ানের বোর্ডিং গেটও হবে দূরে দূরে। প্রত্যেক যাত্রীকে মাস্ক পরে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: করোনা রোগীর ছুটি-নীতির ব্যাখ্যা দিল আইসিএমআর
আরও পড়ুন: কোন ট্রেন কখন ছাড়বে, দেখে নিন সময়সূচি
নিয়ম অনুযায়ী বিমানবন্দরে ঢোকার সময় প্রত্যেক যাত্রীর টিকিট, পরিচয়পত্র পরীক্ষা করেন সিআইএসএফের জওয়ানেরা। এ বার থেকে প্রবেশপথে ক্যামেরা বসানো থাকবে। সেই ক্যামেরার সামনে যাত্রীকে টিকিট ও পরিচয়পত্র মেলে ধরতে হবে। কিছুটা দূরে বসে মনিটরে তা দেখবেন নিরাপত্তাকর্মীরা। সেই সময় যাত্রীকে মাস্ক সরিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে হবে। পরিচয়পত্রের ছবির সঙ্গে যাত্রীর মুখ মিলিয়ে দেখা হবে। এই কাজে বিমানবন্দরের সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে বলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)