ছবি: সংগৃহীত।
ওয়েব-আলাপচারিতায় মন্ত্রী বলছেন, করোনায় ক্লাস বন্ধ তো কী! ওয়েবসাইট আর হাজারো অ্যাপেই হাজির পড়াশোনার অফুরন্ত সম্ভার। বললেন ঠিকই। কিন্তু কখনও উত্তরপ্রদেশের প্রত্যন্ত গ্রাম, তো কখনও মফস্সলের সরকারি কলেজ থেকে পড়ুয়াদের প্রশ্ন এল, “এখানে ইন্টারনেট সংযোগ খারাপ। নেট চলেই না সে ভাবে। কী ভাবে অনলাইনে সমান তালে পড়াশোনা করব?”
অনলাইন পড়াশোনার দাওয়াই আখেরে সমাজে ‘ডিজিটাল ডিভাইড’-কে আরও চওড়া করে দিয়ে যাবে কি না, সেই বিতর্ক ফের উস্কে দিয়ে গেল মন্ত্রী-পড়ুয়ার নেট-বার্তালাপও।
সারা দেশের ঘরবন্দি পড়ুয়াদের সঙ্গে মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখোমুখি আলোচনায় বসেছিলেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক। প্রশ্ন পাঠাতে বলা হয়েছিল আগে থেকে। কোন কোন প্রশ্নের উত্তর মন্ত্রী দেবেন, তা-ও নিশ্চয় যত্ন নিয়ে আগে থেকে বাছাই করা ছিল। তবু তার মধ্যেও অনলাইনে অসাম্যের প্রসঙ্গ উঠল।
আরও পড়ুন: অবরুদ্ধ ভূস্বর্গের ছবি তুলেই তিন পুলিৎজার
অ্যাপে হাজারো বই মজুত। কিন্তু তা পড়ার জন্য পোক্ত মোবাইল নেটওয়ার্ক যে নেই, সেই অসুবিধার কথা বললেন উত্তরপ্রদেশের গ্রামের এক স্কুলপড়ুয়া। আর এক জনের প্রশ্ন, অনলাইনে পড়াশোনার পরিকাঠামো সরকারি কলেজে সে ভাবে কই? তাঁর আশঙ্কা, এর পরে যদি পড়াশোনার বড় অংশ নেট-নির্ভর হয়ে পড়ে, তখন তাঁদের পিছিয়ে পড়তে হবে না তো? মন্ত্রীর পাল্টা পরামর্শ, বহু চ্যানেলেও পড়ানোর কাজ চলছে। সেখানে চোখ রাখলে সমস্যা মেটা সম্ভব।
করোনায় মাসের পর মাস ক্লাসরুম বন্ধ থাকলে ডিজিটাল শিক্ষার হাত ধরা ছাড়া যে গতি নেই, বারবার তা দাবি করে কেন্দ্র। অনেকেরই প্রশ্ন, নেট থেকে শুরু করে অনলাইন শিক্ষার যাবতীয় পরিকাঠামো সকলের ঘরে সমান কি? কারও ঘরে কম্পিউটার নেই। কোথাও নেট ঢিমে গতির হওয়ায় ঘুরেই চলে চাকা। কেউ টাকার অভাবে কিনতে পারেন না স্মার্টফোন। অনলাইন শিক্ষার ‘অসাম্য’ পড়ুয়াদের এই অংশকে পিছিয়ে দেবে কি না, সেই দুশ্চিন্তা থেকে গেল খোদ মন্ত্রীর সঙ্গে পড়ুয়াদের কথোপকথনেও।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)