ছবি: পিটিআই।
লকডাউনের জেরে দিল্লিতে আটকে পড়া ভিন্ রাজ্যের গরিব, দিনমজুরদের আশ্রয়ের জন্য নৈশ আস্তানা গড়বে অরবিন্দ কেজরীবাল সরকার। উত্তরপ্রদেশ সীমানায় গাজিপুর এলাকার স্কুলগুলিকে এ কাজে ব্যবহার করা হবে বলে শনিবার ঘোষণা করেছে অরবিন্দ কেজরীবাল সরকার।
নোভেল করোনাভাইরাস রুখতে দেশ জুড়ে ২১ দিনের লকডাউন চলছে। অন্যান্য রাজ্যের মতো দিল্লিতেও তার প্রভাব পড়েছে। লকডাউনের ফলে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের মতো ভিন্ রাজ্য থেকে রাজধানী দিল্লিতে কাজের খোঁজে আসা বহু গরিব-দিনমজুরের রুজিরুটিতে টান পড়েছে। নিত্যদিনের রোজগার হারিয়ে দিল্লি ছে়ড়ে নিজের রাজ্যের দিকে পা বাড়িয়েছেন হাজার হাজার শ্রমিক-দিনমজুর। লকডাউনের ফলে পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় অনেকে পায়ে হেঁটেই রওনা দিয়েছেন দিল্লি লাগোয়া আশপাশের রাজ্যে, নিজেদের বাড়ির পথে। দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমান্ত লাগোয়া গাজিপুর এলাকায় ভিড় করেছেন ভিন্ রাজ্যের বহু শ্রমিক-দিনমজুর। উত্তরপ্রদেশে নিজেদের বাড়ি ফিরতে সেখানেই রয়েছেন অনেকে। তাঁদের সকলকে আশ্বস্ত করেছে দিল্লি সরকার। করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় লকডাউনের সময় দিল্লিতে নিজেদের আস্তানা বা ঝুপড়ি না ছাড়ারও আর্জি জানিয়েছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া। এ দিন গাজিপুরে গিয়ে ভিন্ রাজ্যের শ্রমিক-দিনমজুরদের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। এর পর সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের তিনি বলেন,“এখানে (গাজিপুরে) স্কুলগুলিকে নৈশ আশ্রয়স্থলে পরিণত করা হবে। যাতে এই মানুষেরা (শ্রমিক-দিনমজুরেরা) রাতে থাকতে পারেন। আশ্রয়হীন মানুষেরাও এখানে থাকতে পারবেন।”
করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় দিল্লি সরকার ইতিমধ্যে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতিতে নজর দিয়েছে। প্রতি দিন দু’বেলা চার লক্ষ মানুষের খাবার জোগানের কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। সে প্রসঙ্গে এ দিন উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গোটা দিল্লির খাবার জোগানের মতো ক্ষমতা রয়েছে আমাদের।”
আরও পড়ুন: ট্রেনেই আইসোলেশন ওয়ার্ড, করোনা রুখতে নয়া ভাবনা কেন্দ্রের
আরও পড়ুন: তেহট্টের ওঁদের সঙ্গে কারা ছিলেন লালগোলা প্যাসেঞ্জারে, জোর তালাশ
নিজেদের বাড়ি ফেরার জন্য যাঁরা একান্তই দিল্লি ছাড়তে চান, তাঁদের জন্য বাসেরও বন্দোবস্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন সিসৌদিয়া। দিল্লির পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ সরকারও এক হাজার বাসের বন্দোবস্ত করেছে, যাতে সীমান্ত এলাকায় আটকে পড়া দিনমজুরেরা বাড়ি ফিরতে পারেন।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)