প্রতীকী ছবি।
শুধু এক মাসের জন্য এক দিনের বেতন নয়। আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত, প্রতি মাসে এক দিনের বেতন পিএম-কেয়ারস তহবিলে দান করতে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ‘আবেদন’ জানাবে সরকার। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তত্ত্বাবধানে এই বিশেষ তহবিল খোলা হয়েছে। তাতে প্রায় সব দফতরের কর্মীরাই এক দিনের বেতন জমা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেই এই তহবিলে অর্থসাহায্য করার আবেদন জানিয়েছিলেন। সরকারি সূত্রের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা স্বেচ্ছায় টাকা দিয়েছেন। কিন্তু এ বার সরকারি নির্দেশিকা জারি করে আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত প্রতি মাসে এক দিনের বেতন জমা করার ‘আবেদন’ জানানো হবে।
আজ অর্থ মন্ত্রকের রাজস্ব দফতর সার্কুলার জারি করে জানিয়েছে, সমস্ত অফিসার ও কর্মীদের কাছে এই আর্জি জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। কেউ যদি এক দিনের বেতন দান করতে না-চান, তা হলে ২০ এপ্রিলের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অফিসারকে জানিয়ে দিতে হবে। সরকারি কর্মীরা বলছেন, কেউ অনিচ্ছুক হলেও চিহ্নিত হওয়ার ভয়ে সেই পথে হাঁটবেন কি না সন্দেহ। সরকারি সূত্রের খবর, পিএম-কেয়ারস তহবিল গঠনের প্রথম সপ্তাহেই প্রায় ৬৫০০ কোটি টাকা জমা পড়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থাকতে কেন পৃথক তহবিল তৈরি হল, এর আয়-ব্যয়ের হিসেব কে করবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। আজ সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরির প্রশ্ন, “এত টাকা যাচ্ছে কোথায়? মানুষ উদার মনে দান করছেন। সরকারি কর্মীদের এক দিনের বেতন বাধ্যতামূলক ভাবে কেটে নেওয়া হচ্ছে। সবাই এগিয়ে আসছেন। এখন কেন্দ্রের উচিত অবিলম্বে পিএম-কেয়ারস তহবিলের টাকা রাজ্যগুলিকে বিলি করে দেওয়া। কারণ, রাজ্যগুলিই সামনে থেকে কোভিড-১৯-এর মোকাবিলা করছে। গরিব মানুষকে খাবার, আশ্রয়ের বন্দোবস্ত করতেও তাঁদের আর্থিক সাহায্য প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ১৪ নয়, ২৮ দিন কোয়রান্টিনে পাঠিয়ে করোনা-যুদ্ধে সাফল্য পেয়েছে কেরল
আরও পড়ুন: মে মাসের প্রথম সপ্তাহে সংক্রমণের শিখরে পৌঁছতে পারে দেশ, ইঙ্গিত কেন্দ্রের মূল্যায়নে
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)