Coronavirus Lockdown

লকডাউন নিশ্চিত করতে সীমানা সিল করুন, রাজ্যগুলিকে নির্দেশ কেন্দ্রের

নিজের রাজ্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করা শ্রমিকদের ১৪ দিন কোয়রান্টিনে রাখতেও নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২০ ১৭:৫০
Share:

বিধি উড়িয়ে গাজিয়াবাদের রাস্তায় জমায়েত শ্রমিকদের। ছবি: পিটিআই

দেশ জুড়ে লকডাউন। বন্ধ ট্রেন ও আন্তঃরাজ্য বাস পরিষেবা। অথচ সামাজিক দূরত্বের বিধি উড়িয়ে দিয়েই দিল্লির সড়কে চলছে পরিযায়ী শ্রমিকদের মিছিল। তা থেকে রয়েছে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা। তাই এ বার রাজ্যগুলিকে সতর্ক হতে বলল কেন্দ্রীয় সরকার। এ নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। লকডাউন নিশ্চিত করতে রাজ্য এবং জেলাগুলির যে সীমানা তা সিল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে নিজের রাজ্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করা পরিযায়ী শ্রমিকদের ১৪ দিন কোয়রান্টিনে রাখতেও বলা হয়েছে।

Advertisement

রবিবার এই মর্মে রাজ্যগুলিকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ওই সব শ্রমিকরা যে লকডাউন বিধি ভেঙে নিজের রাজ্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন সে কথাও বলা হয়েছে তাতে। সেই সঙ্গে এক গুচ্ছ নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে,

• রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনকে গরিব মানুষ ও আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার ও অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে

Advertisement

• যে সব পরিযায়ী শ্রমিক ইতিমধ্যেই বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করেছেন তাঁদের নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য বিধি মেনে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে

• লকডাউনের সময় শিল্প, দোকান-সহ বাণিজ্য ক্ষেত্রগুলির নিয়োগকর্তাদের তাঁদের কর্মীদের বেতন কাটা চলবে না

• পরিযায়ী-সহ যে সব শ্রমিকরা বাড়ি ভাড়া করে রয়েছেন, টাকার জন্য তাঁদের উপর চাপ দিতে পারবেন না বাড়ি মালিকরা

• যদি কোনও বাড়ি মালিক শ্রমিকদের বাড়ি ছাড়ার জন্য চাপ দেন তবে আইননানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে

আরও পড়ুন: লাফিয়ে লাফিয়ে সংক্রমণ করোনায়, বিশ্বে মৃত্যু ছাড়াল ৩১ হাজার​

করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশবাসীকে এই সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আবেদনও জানিয়েছেন। কিন্তু সেই বিধির পরোয়া না করেই, শনিবার দিল্লির আনন্দবিহার বাস টার্মিনাস বা গাজিয়াবাদে জড়ো হন ভিনরাজ্যের শ্রমিকরা। তাঁদের বাসে চড়ার দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। লকডাউনে আটকে পড়া হাজার হাজার শ্রমিক ওই দিন বাড়ি ফেরার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। তাঁদের নিয়েই এ বার রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সতর্ক করে দিল কেন্দ্র সরকার।

আরও পড়ুন: রিপোর্ট নেগেটিভ, আরোগ্যের পথে রাজ্যের প্রথম করোনা আক্রান্ত আমলাপুত্র​

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement