ছবি: এপি।
প্রথমে রাহুল গাঁধী দিল্লির রাস্তায় পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। এ বার প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা উত্তরপ্রদেশের এক হাজার শ্রমিককে বাসে করে ঘরে ফেরাতে চাইছেন। যোগী আদিত্যনাথের সরকার নানা অছিলায় তাতে বাদ সাধলেও কংগ্রেস আচমকা অতি-সক্রিয় হয়ে ওঠায় বিজেপি নেতৃত্ব অস্বস্তিতে।
এমনিতেই মোদী সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা নিয়ে প্রশ্নের মুখে। প্রথমে সনিয়া গাঁধীর ট্রেনভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত, তার পরে তাঁর ছেলে-মেয়ের সক্রিয়তা বিজেপিকে চাপের মুখে ফেলে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক প্যাকেজে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কিছু নেই কেন, তা নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে বিজেপিকে।
চাপের মুখে বিজেপি নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজে কী লাভ হবে, তা নিয়ে গোটা দেশে প্রচার অভিযান চালানো হবে। আপাতত যতটা সম্ভব সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে, তার পর লকডাউন উঠলে মাঠে নেমে মানুষকে বোঝানো হবে।
আরও পড়ুন: ১ জুন থেকে চালু হচ্ছে ২০০ নন-এসি ট্রেন, জানাল রেল
আরও পড়ুন: গন্তব্য রাজ্যের অনুমতি না নিয়েই শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত রেলের
কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন যে ভাবে রাহুলকে ‘ড্রামাবাজ’ বলেছিলেন, তা থেকেই বিজেপির চাপ স্পষ্ট। পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর বন্দোবস্ত করতে রাস্তায় নামার পরে রবিবার রাতে দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অনিল চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। আজ উত্তরপ্রদেশ-রাজস্থান সীমানায় ধর্নায় বসা উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি অজয়কুমার লাল্লুকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর ও প্রিয়ঙ্কার ব্যক্তিগত সচিব সন্দীপ সিংহের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। তাঁরা লকডাউনের নিয়ম মানছেন না বলে পুলিশের অভিযোগ।
তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য, “পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে বিজেপির নেতা-সাংসদেরা লকডাউন না-মানায় পুলিশ ব্যবস্থা নিলে ওরা লাফালাফি করে। এটাই বিজেপির দ্বিচারিতা।” প্রিয়ঙ্কার যুক্তি, বিজেপি চাইলে নিজের ব্যানার লাগিয়ে তাঁর বন্দোবস্ত করা বাসে শ্রমিকদের ঘরে ফেরাক। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতাদের দাবি, প্রিয়ঙ্কা যে বাসের তালিকা দিয়েছেন, তার মধ্যে মোটরবাইক ও ছোট গাড়িও রয়েছে। কংগ্রেস উত্তরপ্রদেশ সীমানায় সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বাসের ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে।