ছবি: এএফপি।
নোভেল করোনাভাইরাস কি চিনের তৈরি মারণাস্ত্র? শুধু জল্পনা নয়, ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে আঙুল উঠেছে বেজিংয়ের দিকে। এই মারণ ভাইরাসকে ‘উহান ভাইরাস’ নাম দিয়ে পরোক্ষে সরব হয়েছে আমেরিকা। এমতাবস্থায় আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি দিল নয়াদিল্লিও। ‘বায়োলজিকাল অ্যান্ড টক্সিন ওয়েপনস কনভেনশন’ (বিটিডব্লিউসি)-এর ৪৫ বছর পূর্তিতে বিদেশ মন্ত্রকের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে নিত্যনতুন উদ্ভাবন যে সব চ্যালেঞ্জ এবং ঝুঁকি তৈরি করছে, বিটিডব্লিউসি তার দিকে নজর রাখুক। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে ভারত একটি বার্ষিক প্রস্তাব জমা দিয়েছে, যার বিষয়ও হল আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা এবং নিরস্ত্রীকরণ।’’ এর পরেই সরাসরি করোনা প্রসঙ্গ তুলে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ যে আন্তর্জাতিক সঙ্কট তৈরি করেছে, তার অর্থনৈতিক এবং সামাজিক দিকগুলি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে যে, এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ঠিক কতটা প্রয়োজন রয়েছে। প্রয়োজন রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংস্কারেরও।
বিদেশ মন্ত্রক উদ্বিগ্ন, সন্ত্রাসবাদীদের হাতে এই জৈব রায়াসনিক মারণাস্ত্র চলে যেতে পারে। তাই নয়াদিল্লির আর্জি, বিটিডব্লিউসি-র ছাতার তলায় থাকা সব রাষ্ট্রগুলির মধ্যে পারষ্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে। যাতে এই কনভেনশনের সবক’টি দিক বাস্তবায়িত হয়। বিবৃতিতে করোনাভাইরাসের উল্লেখ করা হলেও সরাসরি চিনকে নিয়ে কিছুই বলা হয়নি। এ দিকে, তিন দিন আগেই চিনের তরফে ভারতকে অনুরোধ করা হয়, ভারত যেন ‘উহান ভাইরাস’ বা ‘চিনা ভাইরাস’ তকমার বিরোধিতা করে। ভারত কিন্তু এখনও আশ্বাস দেয়নি বেজিংকে।