—প্রতীকী চিত্র।
জরুরি পরিস্থিতিতে করোনা আক্রান্তদের উপর রেমডেসিভির ওষুধ প্রয়োগের অনুমতি দিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)। তবে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে যাঁদের অবস্থা গুরুতর, জরুরি পরিস্থিতি দেখা দিলে, একমাত্র তাঁদেরই এই ওষুধের পাঁচটি ডোজ দেওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে।
ডিসেম্বরের শেষ দিক থেকে নোভেল করোনার সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে গোটা বিশ্ব। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬৪ লক্ষ মানুষ কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ছুঁইছুঁই। তা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত করোনার কোনও প্রতিষেধক বা টিকা আবিষ্কৃত হয়নি।
এমন পরিস্থিতিতে আশার আলো জাগিয়েছে মার্কিন বায়োফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা জিলিয়াড সায়েন্সেস-এর অর্থসাহায্যে তৈরি ওষুধ রেমডেসিভির। পরীক্ষামূলক প্রয়োগে এই রেমডিসিভির করোনার বিরুদ্ধে ভাল কাজ দিয়েছে বলে দাবি করেন বিজ্ঞানী-গবেষকরা।
আরও পড়ুন: মাত্র ১৫ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ থেকে লাফিয়ে ২ লাখ ছাড়াল
তার জেরে সম্প্রতি এই ওষুধ প্রয়োগে অনুমোদন দেয় হোয়াইট হাউসও। তার পরেই ভারতে করোনা রোগীদের উপর এই ওষুধ প্রয়োগের অনুমতি দিল ডিসিজিআই। একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘১ জুন জরুরি পরিস্থিতিতে রেমডেসিভিরের পাঁচটি ডোজ প্রয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’’
করোনা রোগীদের উপর মোট দু’ভাবে রেমডেসিভির প্রয়োগ করে জিলিয়াড সায়েন্সেস। করোনা রোগীদের নিয়ে পাঁচ ও দশ দিনব্যাপী পরীক্ষা করে তারা। তাতে দেখা যায়, পাঁচ দিন ধরে পরীক্ষাতেই ভাল ফল মিলছে। রোগীরা অনেকটাই সেরে উঠছেন।
দু’টি পরীক্ষায় ওষুধের ডোজ কতটা ছিল, তা যদিও খোলসা করেননি জিলিয়াড কর্তৃপক্ষ। তবে সব কিছু খতিয়ে দেকে ১০ দিন ব্যাপী ওষুধের প্রয়োগে সায় দেয়নি ডিসিজিআইও। কোভিড আক্রান্ত শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের উপর পাঁচটি ডোজেরই অনুমতি দিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন: লাদাখে উত্তেজনার মধ্যেই শনিবার ভারত-চিন সামরিক পর্যায়ের বৈঠক
ভারত এবং পাকিস্তান, দু’দেশের পাঁচটি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে জিলিয়াড। সেই সঙ্গে হাতে গোনা কয়েকটি দেশকে ওষুধ সরবরাহ করছে তারা। জুলাই থেকে ব্যাপক আরও অনেক দেশকে ওষুধ সরবরাহ করা যাবে বলে জানিয়েছে তারা।