COVID-19

দুর্গাপুজো ও অন্যান্য উৎসব নিয়ে রাজ্যগুলিকে ফের সতর্ক করল কেন্দ্র

মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যার দিক থেকে প্রথম দশটি রাজ্যের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২০ ০৩:১৩
Share:

দর্শনার্থীর ঢল করোনা-বিধি মেনে চলবে তো, উঠছে প্রশ্ন

কেরলে ওনাম উৎসবের পরে লাফ দিয়ে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। তাই আসন্ন দুর্গাপুজো ও অন্যান্য উৎসবের কথা মাথায় রেখে রাজ্যগুলিকে ফের সতর্ক করে দিল কেন্দ্র। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে গত এক মাসে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যার দিক থেকে প্রথম দশটি রাজ্যের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। একই সঙ্গে দেশের যে ২৫টি জেলায় মৃত্যুহার সব চেয়ে বেশি, তার মধ্যেও জায়গা করে নিয়েছে এই রাজ্যের কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা।

Advertisement

গত দু’সপ্তাহ ধরে গোটা দেশে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা কমলেও ১০টি রাজ্যের পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এই তালিকায় সব চেয়ে উপরে রয়েছে যথাক্রমে মহারাষ্ট্র ও কর্নাটক। তৃতীয় স্থানে রয়েছে কেরল। অথচ এই রাজ্য গোড়ার দিকে করোনা সংক্রমণ রোখার প্রশ্নে আশাতীত ভাল ফল করেছিল। কিন্তু বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না-করে ওনাম উৎসবে কেরলবাসী মেতে ওঠায় গত এক মাসে ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে সংক্রমিতের সংখ্যা। ওনামের ঠিক পরেই ২ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর কেরলে রোগী বেড়েছিল ২২,১৩৩ জন। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবরের সপ্তাহে সেই সংখ্যাটাই বেড়ে হয়েছে ৮৪,৯৫৮!

কেরলের এই পরিসংখ্যান দেখিয়েই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যকর্তাদের হুঁশিয়ারি, আসন্ন উৎসবের মরসুমে স্বাস্থ্যবিধি না-মানলে একই অবস্থা হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বেশ কিছু রাজ্যের। আগামী এক মাসের মধ্যে দুর্গাপুজো, দশেরা, দীপাবলি ও ছটপুজো রয়েছে। আমজনতা যদি নিয়মের তোয়াক্কা না-করে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে, সে ক্ষেত্রে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে ফের সংক্রমণ কয়েক গুণ বাড়বে। আজ এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ বলেন, ‘‘কেরলে ওনামের পরে সংক্রমণ বেড়েছে। উৎসবের মরসুমে তাই রাজ্যগুলি কী ভাবে করোনা সংক্রমণ ঠেকাবে, সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: হাথরসের ঘটনা ভয়ঙ্কর: আদালত

এই মুহূর্তে দেশের মোট অ্যাক্টিভ রোগীর ৭৭ শতাংশের ঠিকানা মূলত দশটি রাজ্য। সেই তালিকায় দশম স্থানে পশ্চিমবঙ্গ। গোটা দেশের ৩.০২ শতাংশ অ্যাক্টিভ রোগী পশ্চিমবঙ্গের। কিন্তু চিন্তার বিষয় হল, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা বা ছত্তীসগঢ়ে মোট অ্যাক্টিভ রোগী বেশি থাকলেও গত এক মাসে ধাপে ধাপে সংখ্যাটা কমেছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ২ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর যেখানে ২৩,২১৬ জন সংক্রমিত হয়েছিলেন, সেখানে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৭,৭১৭। ফলে দুর্গাপুজোর সময়ে যদি স্বাস্থ্যবিধি না-মানা হয়, তা হলে পরিস্থিতি যে উত্তরোত্তর খারাপই হবে, সে বিষয়ে কার্যত নিশ্চিত মন্ত্রক কর্তারা।

আরও পড়ুন:পুজোর ভিড়ই ডাকবে বিপদ, আতঙ্কে পুলিশ​

কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশে যে আটটি রাজ্যের ২৫টি জেলায় মোট মৃত্যুর ৪৮ শতাংশ ঘটনা ঘটছে, তার মধ্যে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা রয়েছে। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটছে মুম্বইয়ে (৭.৫২ শতাংশ)। কলকাতার মৃত্যুহার ১.৭১ শতাংশ ও উত্তর ২৪ পরগনার ১.১২ শতাংশ। প্রাথমিক ভাবে মৃত্যুহার কমিয়ে ১ শতাংশ করার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement