Coronavirus in India

বুধবার বাড়ি গিয়েছিলেন অমিত, মোদী কি যাবেন নিভৃতবাসে?

টুইট না করলেও অমিত শাহর করোনা পরীক্ষার ফল আসার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২০ ০৪:১৪
Share:

২৯ জুলাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাজনাথ সিংহ, নির্মলা সীতারামনেরা। ছবি মোদীর টুইট থেকে।

গত কয়েক মাস ধরে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্কতায় কোনও ফাঁক ছিল না। শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা না-করিয়ে মন্ত্রী-সান্ত্রীরাও প্রবেশাধিকার পাননি। সকলের মোবাইলে ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপ পরীক্ষা করা হয়েছে। লোক কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের ফটক থেকে সাত নম্বর বাংলো পর্যন্ত সাধারণত সরকারি গাড়িতেই অতিথিদের নিয়ে যাওয়া হয়। একই গাড়ি একাধিক ব্যক্তি ব্যবহার করলে তা থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে ফেরি গাড়ির ব্যবহারও বন্ধ করে দেওয়া হয়।

Advertisement

এর পরেও দল ও সরকারে প্রধানমন্ত্রীর সব থেকে আস্থাভাজন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে মোদী সরকারের শীর্ষ স্তরেই উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ল। কারণ অমিত শাহ বুধবার লোক কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বাকি সব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, উচ্চপদস্থ আমলারাও হাজির ছিলেন।

তরুণ নেতা-মন্ত্রী তো বটেই, রাজনাথ সিংহর মতো প্রবীণ মন্ত্রীও আজ টুইট করে অমিত শাহের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।

Advertisement

কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নীরব। অন্তত এ নিয়ে কোনও টুইট তিনি করেননি। উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী কমলরানি বরুণের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী টুইট করে শোকবার্তা জানান। অমিত শাহ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরেও তিনি ইজরায়েলের রাষ্ট্রপতির ‘ফ্রেন্ডশিপ ডে’-র শুভেচ্ছাবার্তার জবাব দিয়েছেন। কিন্তু অমিত শাহকে নিয়ে কোনও টুইট করেননি।

আরও পড়ুন: শাহের করোনা, রামমন্দিরের ভূমিপূজার কী হবে!

সরকারি সূত্রে অবশ্য খবর, টুইট না করলেও অমিত শাহর করোনা পরীক্ষার ফল আসার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। গুরুগ্রামের হাসপাতালে তিনি ভর্তি হওয়ার পরেও চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হয়েছে। করোনা মোকাবিলা নিয়ে গত কয়েকটি বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বারবার বলেছিলেন, লকডাউন উঠে গেলেও করোনার সম্পর্কে সতর্কতায় ঢিলেমি দেওয়া চলবে না। তিনি নিজেও লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে বাড়ির বাইরে বের হননি। একমাত্র ব্যতিক্রম আমফানের পর বাংলা-ওড়িশা সফর এবং লাদাখ। প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রের খবর, গত কয়েক মাসে মোদী যতটা সম্ভব সশরীরে বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছেন। সিংহ ভাগ বৈঠকই হয়েছে ভিডিয়ো কনফারেন্সে। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকেও সামাজিক দূরত্বের সমস্ত নিয়ম মেনে চলা হয়েছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement