শরদ পওয়ার। —ফাইল চিত্র।
নিজামুদ্দিনের ঘটনা নিয়ে কেন বিদ্বেষ ও বিভাজনের রাজনীতি চলছে, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনেই প্রশ্ন তুললেন এনসিপি-র শীর্ষ নেতা শরদ পওয়ার।
প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে আজ পওয়ার বলেন, তবলিগি জামাতের সমাবেশ থেকে যে ভাবে করোনা-সংক্রমণ ছড়িয়েছে, তা খুবই নিন্দনীয়। কিন্তু এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রচার চলছে, যে ভাবে একটি গোটা সম্প্রদায়কে নিশানা করা হচ্ছে, তাতে সমাজে বিভেদ সৃষ্টি হবে। বৈঠকের আগেই পওয়ার প্রশ্ন তুলেছিলেন, একই সময়ে মহারাষ্ট্রে তবলিগি জামাতের সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তা হলে দিল্লিতে কেন
অনুমতি দেওয়া হল? মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, এনসিপি নেতা অনিল দেশমুখের প্রশ্ন, মহারাষ্ট্রে ছাড়পত্র মিলল না, তবে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন দিল্লি পুলিশ এই অনুমতি দিল কেন? নিজামুদ্দিন থানার পাশেই মরকজে কী করে এটা হতে দেওয়া হল? কেন পরিস্থিতি সামলাতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে নামতে হল? আর ডোভালের সঙ্গে বৈঠকের পরেও কী করে তবলিগি জামাত প্রধান মৌলানা সাদ উধাও হয়ে গেলেন?
লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগে সাদ-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে গত কালই এফআইআর করেছে দিল্লি পুলিশ। সাদের আইনজীবী তৌসিফ খান আজ জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তবলিগি জামাতের নেতা কোয়রান্টিনে রয়েছেন। সেই পর্ব শেষ হলেই তিনি তদন্তে সহযোগিতা করবেন। এফআইআরে বলা হয়েছে, তবলিগি জামাতের নেতাদের পুলিশ জানিয়েছিল, সমাবেশে ৫০ জনের বেশি লোকের উপস্থিতি চলবে না। কিন্তু সেই নির্দেশ তাঁরা মানেননি। বরং হোয়াটসঅ্যাপে ছড়ানো একটি অডিও বার্তায় শোনা গিয়েছে, সাদ সরকারি নির্দেশ অমান্য করার কথা বলছেন। তবে ডোভালের সঙ্গে সাদের ‘গোপন’ আলোচনা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিযোগ, কেন্দ্রের সঙ্গে তবলিগি জামাতের সম্পর্ক রয়েছে।
এরই মধ্যে দিল্লির দ্বারকায় একটি কোয়রান্টিন সেন্টার থেকে প্রস্রাব ভর্তি বোতল আশপাশের এলাকায় ছুড়ে ফেলার ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এফআইআরে বলা হয়েছে, কোয়রান্টিন সেন্টারের ফ্ল্যাটগলি থেকে মঙ্গলবার ওই বোতলগুলি ফেলা হয়। অন্যদের মধ্যে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দিতে এমন ঘটনা ঘটানো হয়ে থাকতে পারে বলে অভিযোগ।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)