Coronavirus in India

করোনার সঙ্গে রূপাণীর চিন্তা শ্রমিক অসন্তোষও

মহারাষ্ট্র-পশ্চিমবঙ্গের করোনা চিত্র নিয়ে কেন্দ্র ‘উদ্বিগ্ন’ হলেও গুজরাত প্রশ্নে তারা কেন নীরব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২০ ০৫:০৬
Share:

ছবি এএফপি।

বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না গুজরাতের।

Advertisement

করোনা সংক্রমণের নিরিখে এমনিতেই দেশে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য। উপরন্তু একের পর এক শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনাও প্রবল অস্বস্তিতে ফেলেছে বিজয় রূপাণীর সরকারকে। গত সপ্তাহে সুরতের পরে আজ কচ্ছ এলাকায় পরিযায়ী শ্রমিকেরা নিজেদের রাজ্যে ফিরে যাওয়ার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখান, রাস্তা অবরোধ করেন। ঢিল পড়ে চলন্ত গাড়িতে। এই পরিস্থিতিতে গুজরাত সামলাতে হিমশিম দশা নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের।

আজ দেশের মধ্যে এক দিনে সব চেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এক দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪৯৫ জন বেড়েছে উদ্ধব ঠাকরের রাজ্যে। মহারাষ্ট্রে মোট সংক্রমিত ২৪,৪২৭ জন। দেশে ৭৪,২৮১ জন। গুজরাত শুধু মোট সংক্রমণের হিসেবেই নয়, মৃত্যু-হারের নিরিখেও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। গত চব্বিশ ঘণ্টায় গুজরাতে ৩৬৪ জন সংক্রমিত হয়েছেন। রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯০৩। মোট মৃত্যু ৫৩৭টি। এর মধ্যে শুধু আমদাবাদেই আক্রান্ত ৫৮১৮ জন। সেখানে মারা গিয়েছেন ৩৮১ জন।

Advertisement

কেন্দ্র ও গুজরাত সরকারের মাথাব্যথা আরও বাড়িয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর অভিযোগ। বিভিন্ন রাজ্যের দাবি, গুজরাত থেকে যে শ্রমিকেরা কোনও মতে বাড়ি ফিরে এসেছেন, তাঁদেরও অধিকাংশের করোনা ধরা পড়ছে। আজ কর্নাটক সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সম্প্রতি যে আট শ্রমিক গুজরাত থেকে ফিরে এসেছেন, তাঁদের সকলের শরীরেই করোনার চিহ্ন মিলেছে। অন্ধ্রপ্রদেশে আজ ৫০টি নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। এঁদের মধ্যে ২৬ জনই গুজরাত থেকে সদ্য ফিরেছেন।

আরও পড়ুন: রাস্তাতেই প্রসব, ফের হাঁটলেন শকুন্তলা

ফলে প্রশ্ন উঠেছে, মহারাষ্ট্র-পশ্চিমবঙ্গের করোনা চিত্র নিয়ে কেন্দ্র ‘উদ্বিগ্ন’ হলেও গুজরাত প্রশ্নে তারা কেন নীরব। বিশেষ করে নিয়মিত যেখানে পশ্চিমবঙ্গকে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। কেন্দ্র বলেছে, পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মৃত্যুর হার দেশের মধ্যে সর্বাধিক। তা হলে মৃত্যু-হারে দ্বিতীয় স্থানে থাকা গুজরাতের ক্ষেত্রেও কি একই রকম সক্রিয়তা দেখাচ্ছে মোদী সরকার? লোকসভার তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, ‘‘গোটাটাই যে কেন্দ্রের রাজনৈতিক চক্রান্ত, তা স্পষ্ট। গুজরাতকে চিঠি লিখলে সে রাজ্যের বিজেপি সরকারের ব্যর্থতা প্রকাশ্যে চলে আসবে। তাই গুজরাতকে সব ছাড় দিয়ে রেখেছে কেন্দ্র। আর যে-হেতু আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন, তাই এই রাজ্যকে এ ভাবে প্রতিদিন নিশানা করার কৌশল নেওয়া হয়েছে।’’

আরও পড়ুন: ফেরার টিকিট লটারির চেয়েও দামি

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement