—ফাইল চিত্র।
এপ্রিলে রীতিমতো ঢাকঢোল পিটিয়ে ভেন্টিলেটরের উদ্বোধন করেছিলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী। দাবি করেছিলেন, করোনা আবহে ভেন্টিলেটরের চাহিদা মেটাবে গুজরাতের তৈরি এই ভেন্টিলেটরগুলি। কিন্তু একপক্ষ কালের মধ্যেই জানা গিয়েছে, এগুলি আসলে ভেন্টিলেটর নয়, অ্যাম্বু-ব্যাগ। যা নিয়ে প্রবল অস্বস্তিতে নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যের বিজেপি সরকার।
করোনা সংক্রমণে গুজরাত রীতিমতো বেহাল। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা আমদাবাদের। কিন্তু এক দিনের জন্যও সেখানে যাননি রূপাণী। কিন্তু গত ৪ এপ্রিল আমদাবাদ সিভিল হাসপাতালে রীতিমতো জাঁকজমক করেই ভেন্টিলেটরের উদ্বোধন করেন তিনি। ঘটনাচক্রে, ওই ভেন্টিলেটরগুলি তৈরি করেছে মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এক ব্যক্তির সংস্থা। ইতিমধ্যেই গুজরাতের বেশ কয়েকটি সরকারি হাসপাতালে ভেন্টিলেটরগুলি বসানো হয়েছে।
কিন্তু বিপত্তি বাধে আমদাবাদ সিভিল হাসপাতাল সরকারের কাছে পুনরায় ভেন্টিলেটর চেয়ে পাঠানোয়। প্রশ্ন ওঠে, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধন করা ২৩০টি ভেন্টিলেটর (ধামন-ওয়ান) সিভিল হাসপাতালে থাকা সত্ত্বেও আরও ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন পড়ল কেন? হাসপাতাল সূত্রের খবর, এটি ভেন্টিলেটর নয়, নেহাতই মেশিনাইজ়ড অ্যাম্বু-ব্যাগ। ভেন্টিলেটরের মাধ্যমে যে মাত্রায় রোগীকে অক্সিজেন দেওয়া হয়, এতে তার চেয়ে বেশি মাত্রায় অক্সিজেন যায়। ফলে এটিকে কোনও ভাবেই ভেন্টিলেটর হিসেবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ফলে গুজরাতের বেশ কিছু সরকারি হাসপাতাল রীতিমতো ভেন্টিলেটর সঙ্কটে ভুগছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের কাছে জরুরি ভিত্তিতে ৩০০টি পুরো মাত্রার ভেন্টিলেটর চেয়েছে রাজ্য।
আরও পড়ুন: সংক্রমণ লক্ষ ছুঁইছুঁই, কেন্দ্র তা-ও সন্তুষ্ট
আরও পড়ুন: লকডাউন বিধি মানা নিয়ে রাজ্যগুলোকে সতর্ক করল কেন্দ্র
রূপাণীর উদ্বোধন করা যন্ত্রগুলি যে আদৌ ভেন্টিলেটর নয়, তা মেনে নিয়েছে ওই অ্যাম্বু-ব্যাগ নির্মাণ সংস্থা জ্যোতি সিএনসি। সংস্থার সিএমডি বলেন, ‘‘এটা পূর্ণমাত্রার ভেন্টিলেটর নয়। এটা আমরা আগেই সরকারকে জানিয়েছিলাম। আমরা পূর্ণমাত্রার ভেন্টিলেটর তৈরি করছি।’’
গুজরাতের এক শীর্ষ স্থানীয় আমলা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে অ্যাম্বু-ব্যাগকে ভেন্টিলেটর বলে চালিয়ে দিচ্ছেন, তা থেকে পরিষ্কার রূপাণীর আমলে প্রশাসন কী ভাবে চলছে।