প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
ভোপাল গ্যাস দুর্গতদের উপর করোনা প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিন-এর মহড়া বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিল সেখানকার চারটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ভোপালে এই প্রক্রিয়া অবিলম্বে বন্ধ করার পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি তুলেছে তারা। চিঠি দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকেও।
এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির সদস্যদের দাবি, গ্যাস দুর্গতদের উপর কোভ্যাক্সিন প্রয়োগের নেতিবাচক প্রভাব সামনে আসছে। ভোপাল গ্যাস পীডিত মহিলা স্টেশনারি কর্মচারী সঙ্ঘের সদস্য রশীদা বী বলেন, ‘‘প্রতিষেধক নেওয়ার দশ দিন পরেই এক জনের মৃত্যু হয়েছে। অনেকেরই জটিল শারীরিক সমস্যা হচ্ছে।’’ ভোপালে গত ১২ ডিসেম্বর কোভ্যাক্সিন প্রয়োগের মহড়ায় অংশ নেওয়ার নয় দিন পরে ৪২ বছর বয়সি এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। চিকিৎসকেরা মনে করেছিলেন, বিষক্রিয়াই মৃত্যুর কারণ। তবে ভারত বায়োটেকের দাবি— প্রাথমিক পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই মৃত্যুর সঙ্গে প্রতিষেধক প্রয়োগের কোনও সম্পর্ক নেই। রশীদা অবশ্য দাবি করেছেন, প্রতিষেধক প্রয়োগের পরে কারও মৃত্যু হলে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। মোদী ও হর্ষ বর্ধনকে পাঠানো চিঠিতে সই করেছে ভোপাল গ্যাস পীড়িত মহিলা পুরুষ সংঘর্ষ মোর্চা, ভোপাল গ্রুপ ফর ইনফরমেশন অ্যান্ড অ্যাকশন, চিলড্রেন এগেনস্ট ডাও কার্বাইডের মতো সংগঠনগুলি।