রামদাস আটওয়ালে। —ফাইল চিত্র।
দেশ থেকে করোনা তাড়াতে ‘গো করোনা গো’ মন্ত্র জপার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দেশে করোনা যে আকার ধারণ করেছে, নিজে আর সভা করার ঝুঁকি নিচ্ছেন না। নিজেকে গৃহবন্দি করতেই হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আটওয়ালেকে। সাইক্লিং এবং ধ্যান করে এখন বাড়িতেই সময় কাটাচ্ছেন তিনি।
সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী আটওয়ালে মুম্বইয়ের বান্দ্রায় ‘সংবিধান’ বাংলোয় থাকেন। এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০০ ছুঁইছুঁই। লকডাউনের জেরে তাই বাইরে বেরনো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই নিজের বাসভবনে ছেলের সঙ্গেই এখন সময় কাটাচ্ছেন আটওয়ালে।
সংবাদমাধ্যমে আঠাওয়ালে বলেন, ‘‘আমার রোজকার রুটিনে এখন হাঁটা এবং সাইক্লিং রয়েছে। ধ্যানও করি আধ ঘণ্টা। বই পড়ি। রোজকার খবর দেখতে ভুলি না।’’ আটওয়ালে আরও বলেন, ‘‘লকডাউন থাকায় ছেলে জিতের সঙ্গে আজকাল খেলাধুলোও করছি। অনেক দিন পর ওর সঙ্গে এতটা সময় কাটাতে পারছি।’’
আরও পড়ুন: লকডাউনের শহরে ত্রাণ বিলি নিয়ে বোমাবাজি, ইটবৃষ্টি, রণক্ষেত্র গার্ডেনরিচ
আরও পড়ুন: লকডাউন বাড়ানোর খবর ভুয়ো, জানাল কেন্দ্র
নোভেল করোনাকে ভারত ছাড়া করতে চলতি মাসের শুরুতে ‘গো করোনা গো’ মন্ত্র আওড়াতে দেখা গিয়েছিল আটওয়ালেকে। মুম্বইয়ের চিনা কনসাল জেনারেল ট্যাং জুকাই এবং বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের নিয়ে গেটওয়ে অব ইন্ডিয়ার সামনে জমায়েত করে ওই মন্ত্র জপেন তিনি। তা নিয়ে ব্যাপক বিতর্কও হয়েছিল। তবে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যখন ১০০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে, মৃত্যুসংখ্যাও যখন ৩০ ছুঁইছুঁই, সেইসময় শুধু মন্ত্রের উপর ভরসা করে বসে থাকতে পারেননি আটওয়ালে। স্থানীয় উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ টাকা থেকে প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে ১ কোটি টাকা দান করেছেন তিনি। মহারাষ্ট্র সরকারের ত্রাণ তহবিলেও নিজের দু’মাসের বেতন দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।