নরেন্দ্র মোদী ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল চিত্র।
করোনা-মোকাবিলায় ওষুধ না-পাঠালে, তার ফল ভুগতে হবে বলে গত কালই দিল্লিকে হুমকি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ গুজরাতের তিনটি কারখানা থেকে সেই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন বোঝাই জাহাজ আমেরিকার উদ্দেশে রওনা দিচ্ছে জেনেই সুর পাল্টে ফেললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বললেন, ‘‘কথা হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। ওষুধ আসছে ভারত থেকে। মোদী মহান। উনি সত্যিই খুব ভাল মানুষ।’’
কূটনীতিকদের একাংশ অবশ্য বলছেন, হুমকিতে কাজ হয়েছে দেখেই আত্মতুষ্টিতে মজে এখন মোদীর প্রশংসা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অন্য দিকে, চাপের মুখে রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে এ ভাবে আমেরিকায় ওষুধ পাঠানো নিয়ে মোদীকেও বিঁধছেন অনেকে।
করোনা-সংক্রমণের দিক থেকে এই মুহূর্তে আমেরিকাই সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় বলে মনে করছেন অনেকে। আশঙ্কা, ইটালির চেয়েও সঙ্কটজনক অবস্থা হতে পারে। গোড়ায় তেমন গা না-করলেও করোনা এখন মাথাব্যথা বাড়িয়েছে ট্রাম্পেরও। এই পরিস্থিতিতে ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন-কেই ‘গেমচেঞ্জার’ ধরে এগোতে চাইছেন ট্রাম্প। করোনা চিকিৎসায় ওই ওষুধকে ছাড়পত্র দিয়েছে সে দেশের ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডও।
বিশ্বে ভারতই যে-হেতু এই ওষুধের ৭০ শতাংশ উৎপাদন করে, তাই সদ্য ভারতে ‘নমস্তে ট্রাম্প’ সেরে যাওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্টও তড়িঘড়ি ভারতকেই টার্গেট করেন। সাফ জানান, ওষুধ না-পেলে পাল্টা পদক্ষেপ করবে ওয়াশিংটন। ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। ট্রাম্প নিজেই এক সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, ২ কোটি ৯০ লক্ষ ওষুধ আসছে ভারত থেকে। আর তার রেশ ধরেই উচ্চকণ্ঠ হলেন ‘বন্ধু’ মোদীর প্রশংসায়।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)