—ফাইল চিত্র।
করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৪ জন পুরোহিত। প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০০-র বেশি কর্মী। তা সত্ত্বেও মন্দিরে দর্শনার্থীদের আসা বন্ধ করা হবে না বলে জানিয়ে দিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুমালা তিরুপতি বালাজি মন্দির কর্তৃপক্ষ। এখনও পর্যন্ত কোনও দর্শনার্থীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলেনি। তাই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
দেশ জুড়ে আনলক পর্ব শুরু হলে গত ১১ জুন তিরুপতি মন্দির খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। তার পর থেকে মন্দিরের ১৪০ জন কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছেন ১৪ জন পুরোহিত। তাই অবিলম্বে মন্দির বন্ধ করে দেওয়ার দাবি উঠতে শুরু করেছিল। কিন্তু তার কোনও প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমের (টিটিডি) চেয়ারপার্সন ওয়াই ভি সুব্বা রেড্ডির যুক্তি, আক্রান্তদের মধ্যে ৭০ জন ইতিমধ্যেই সেরে উঠেছেন। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই অন্ধ্রপ্রদেশের পুলিশকর্মী। তবে মন্দির বন্ধ করার প্রশ্নই ওঠে না বলে জানিয়ে দেন তিনি। সুব্বা রেড্ডি বলেন, ‘‘তিরুমালা মন্দির বন্ধ করার কোনও পরিকল্পনা নেই আমাদের। সিনিয়র পুরোহিতদের কাউকে এখন কাজ করতে দেওয়া হবে না। পুরোহিত ও কর্মীদের আলাদা ভাবে রাখার বন্দোবস্তও চলছে।’’
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের বিল নিয়ে ক্ষোভ শহর জুড়ে, অঙ্কুশেরও এল ২১ হাজার টাকা
আরও পড়ুন: এক ইঞ্চি জমিও কেউ নিতে পারবে না, লাদাখে বললেন রাজনাথ
তবে তাঁদের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন তিরুমালা মন্দিরের প্রাক্তন প্রধান পুরোহিত রমণ দীক্ষিটুলু। তাঁর মতে, এ ভাবে চললে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে। রাজ্য সরকারকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তবে এ ব্যাপারে গণমাধ্যমে কোনও মন্তব্য না করে সরাসরি বোর্ডের সঙ্গে তাঁর কথা বলা উচিত বলে জানান সুব্বা রেড্ডি। এর আগে, মন্দির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ করেছিলেন রমণ দীক্ষিটুলু। ২০১৮ সালে তাঁকে প্রধান পুরোহিতের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।