Coronavirus

দেশে আক্রান্ত বেড়ে ৪৩, এ বার কেরলে ৩ বছরের শিশুর দেহে মিলল ভাইরাস

এই নিয়ে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩-এ গিয়ে পৌঁছল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২০ ১০:৪১
Share:

বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। ছবি: পিটিআই।

কেরলে এ বার তিন বছরের শিশুর শরীরে ধরা পড়ল করোনাভাইরাস। মা-বাবার সঙ্গে গত ৭ মার্চ ইতালি থেকে দুবাই হয়ে দেশে ফিরেছিল শিশুটি। কোচি বিমানবন্দরে ডাক্তারি পরীক্ষায় তার শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এই মুহূর্তে এর্নাকুলাম মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা চলছে তার। তাঁদের শরীরেও সংক্রমণ ছড়িয়েছে কি না জানতে শিশুটির মা-বাবাকেও হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

এ দিন সকালে জম্মু-কাশ্মীরে ৬৩ বছরের এক বৃদ্ধার শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। তাতে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩-এ গিয়ে পৌঁছেছে। রবিবারই কেরলে একই পরিবারের পাঁচ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে, যার মধ্যে তিন জন সম্প্রতি ইতালি থেকে ফিরেছেন বলে জানা গিয়েছে। বিদেশ ফেরত সকলের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কেরলের সমস্ত বিমানবন্দরেই ডাক্তারি পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু তাঁরা যে ইতালি থেকে ফিরছেন, আক্রান্ত তিন জন বিমানবন্দরে তা খোলসা করেননি বলে দাবি করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেকে শৈলজা।

অন্য দিকে, রবিবারই পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের আইসোলেশন ওয়ার্ডে বছর তেত্রিশের এক যুবকের মৃত্যু হয়। তার এক দিন আগেই সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরেন জিনারুল হক নামের ওই যুবক। ডায়াবিটিস মেলিটাসে আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি জ্বর, হাঁচি-কাশি এবং শ্বাসকষ্টের লক্ষণ থাকায় আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।

Advertisement

আরও পড়ুন: করোনা-আতঙ্ক: সৌদি থেকে ফিরেই যুবকের মৃত্যু মুর্শিদাবাদে​

আরও পড়ুন: রাণা কপূরকে ২ কোটি টাকায় ছবি বিক্রি! প্রিয়ঙ্কাকে টার্গেট করল বিজেপি​

তবে জিনারুল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি বলে জানা গিয়েছে। তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সোমবার সেই রিপোর্সেট সামনে আসেছে। তাতে জিনারুলের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মেলেনি।

জিনারুলের মতোই জ্বর, হাঁচি-কাশির লক্ষণ নিয়ে লাদাখের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মহম্মদ আলি নামের ৭৬ বছরের এক বৃদ্ধ। প্রাক্তন পুলিশকর্মী মহম্মদ আলি সম্প্রতি ইরান থেকে দেশে ফেরেন। শনিবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। রবিবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। যদিও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে কি না, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মূত্রনালীতে সংক্রমণ ধরা পড়ে ওই ব্যক্তির। তবে যে ইয়াউকুমা চোচুক গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন ওই ব্যক্তি, সেখান থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

দেশ জুড়ে এমন পরিস্থিতিতে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সমস্ত বন্দরে যাত্রিবাহী বিদেশি জাহাজের আনাগোনা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement